শ্রীরামপুরে গঙ্গার ঘাটের কাছ থেকে এ দিন বিকেলেই একটি দেহ পাওয়া গিয়েছে। ফাইল ছবি।
কথা ছিল, গঙ্গায় স্নান সেরে সেখান থেকে মাটি ও জল নিয়ে পাড়ার গণেশ মণ্ডপে রাখবেন আয়োজকেরা। তা আর হল না। মঙ্গলবার বিকেলে জগদ্দলের পালঘাটে স্নানে নেমে জলে তলিয়ে গিয়েছিলেন চার আয়োজক। যাঁদের সকলেরই বয়স ১৪ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা। তল্লাশি চালিয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁদের নাম শম্ভু রাম (১৯) ও সৌরভ প্রসাদ (১৬)। তৃতীয় জনের দেহ মেলে বুধবার দুপুরে। তার নাম জিতু চৌধুরী (১৪)। এখনও নিখোঁজ এক জন।
পুলিশ সূত্রের খবর, শ্রীরামপুরে গঙ্গার ঘাটের কাছ থেকে এ দিন বিকেলেই একটি দেহ পাওয়া গিয়েছে। সেটি চতুর্থ নিখোঁজ গৌতম প্রসাদের কি না, দেখা হচ্ছে। মৃত তিন জনেরই বাড়ি ভাটপাড়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাশা রেল কলোনি এলাকায়। এঁরাই পাড়ার গণেশ পুজোর আয়োজক। বস্তি এলাকা পূর্বাশা কলোনির গায়ে গায়ে ঘর। পাশাপাশিই বাড়ি শম্ভু, জিতুদের। জিতুর বাবা কানাইলাল চৌধুরী বিড়বিড় করে বলে চলেন, “ছেলেরা ঠিক করেছিল, এ বার প্রথম পুজো করবে। সব আয়োজন সারা। স্নান করে জল আনবে বলে গেল ওরা। সেই ফিরল, অথচ নিথর দেহ হয়ে!” স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, যে হেতু পুজোর সব আয়োজন হয়ে গিয়েছিল, তাই ধূপ দেখানো হয়েছে মণ্ডপে।
স্থানীয় পুর প্রতিনিধি সীমা মণ্ডল বলেন, “তখন নিশ্চয়ই গঙ্গায় বান এসেছিল। সেটা ওরা বুঝতে না-পারায় চার জনই তলিয়ে গিয়েছে।’’ মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জানান, ব্যারাকপুর প্রশাসনিক ভবনে বৃহস্পতিবার পরিবারের হাতে ওই টাকা তুলে দেওয়া হবে।