শোকের আবহ নিহতের বাড়িতে। নিজস্ব চিত্র
জোড়া খুন ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে। বৃহস্পতিবার সরিষাহাট এলাকায় এক যুবককে কুপিয়ে খুন করে কয়েক জন দুষ্কৃতী। পালানোর সময় তাদের এক জনকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গণপ্রহারে মৃত্যু হয় ওই দুষ্কৃতীর। পুলিশ দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীদের হাতে নিহত হন নুর সালাম বেগ (৪৫) নামে এক যুবক। শরিফউদ্দিন মোল্লা নামে এক দুষ্কৃতীকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। দু’জনেই চাঁদনগরের মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নূর সালাম এবং শরিফউদ্দিনের পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিবাদ। বৃহস্পতিবার সকালে সরিষাহাটে বাজার করতে যান নুর। তাঁকে সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ শরিফউদ্দিন-সহ কয়েক জন দুষ্কৃতী তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। অস্ত্রের কোপে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নুরের। উত্তেজিত জনতা পালানোর সময় শরিফউদ্দিনকে ধরে ফেলে। গণপ্রহারে মৃত্যু হয় তার।
বাইকে করে পালানোর সময় রাজা মল্লিক নামে এক জনকে পুলিশ পাকড়াও করেছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার এসপি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘খুনের ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে। পুরনো শত্রুতার জেরে এই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।’’
এই ঘটনায় তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে চাপানউতর শুরু হয়েছে। বিজেপি-র অভিযোগ, জোড়া খুনের নেপথ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। তবে বিজেপি-র অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
তবে নিহত নুর এলাকার তৃণমূলকর্মী হিসেবেই পরিচিত। তৃণমূল নেতৃত্বের সন্দেহ, নুরের হত্যার পিছনে বড়সড় মাথা আছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি তুলেছে জোড়াফুল শিবির।