বারাসত-দক্ষিণেশ্বর রুটের বাস। নিজস্ব চিত্র।
কোভিড বিধিনিষেধে বন্ধ ছিল পরিষেবা। নিষেধ উঠেছে। দক্ষিণেশ্বর থেকে বারাসতের মধ্যে চলা ‘ডিএন৪৩’ রুটের বাসগুলি তাই চলতে শুরু করেছিল। কিন্তু তবুও যাত্রাপথ সম্পূর্ণ হচ্ছে না ওই রুটের বাসগুলির। লকডাউনের পর ‘ডিএন৪৩’ বাসের যাত্রায় বাধ সেধেছে মধ্যমগ্রাম ব্রিজের নিরাপত্তা। দিনের পর দিন আর্থিক ক্ষতির জেরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে জনপ্রিয় এই বাস রুট।
দক্ষিণেশ্বর থেকে সোদপুর, মধ্যমগ্রাম চৌমাথা হয়ে বারাসত যায় এই রুটের বাস। স্বাভাবিক ভাবেই মধ্যমগ্রাম স্টেশনের উপর ফ্লাইওভার দিয়েই বারাসত যায় এই বাস। কিন্তু ব্রিজের নিরাপত্তার কারণে বড় গাড়ি ব্রিজে ওঠার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কর্তৃপক্ষ। যে কারণে এই ব্রিজের উপর দিয়ে আর যেতে পারছে না বাসগুলি। দক্ষিণেশ্বর থেকে শ্রীপুর পৌঁছে যাত্রা শেষ করতে হচ্ছে। এই কারণেই অসন্তোষ ছড়িয়েছে ওই রুটের সঙ্গে জড়িত বাস মালিক, চালক এবং কন্ডাক্টরদের মধ্যে।
লকডাউন গত বছর থেকেই ধাক্কা দিয়ে আসছে গণপরিবহণ ব্যবস্থাকে। সঙ্গে দোসর জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি। এই পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ রুটে বাস চালাতে না পেরে বাসের রুট বদলের দাবি তুলেছেন বাসের মালিকরা। তাঁদের দাবি, হয় বাসের যাতায়াতের জন্য এই ব্রিজ খুলে দেওয়া হোক, না হলে এই বাসের জন্য পরিবর্তিত রুট তৈরি করা হোক। ডিনএন৪৩ রুটের এক বাসমালিক আসরফ গাজির গলাতেও শোনা গিয়েছে একই সুর। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের রুটে ২৪টির বেশি বাস রয়েছে। রাস্তা কমে যাওয়ায় রোজগারও কমছে। এ ভাবে বাস চালালে যা আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে, তাতে বাস বন্ধ করে দিতে হবে।’’
মধ্যমগ্রামের পুর প্রশাসক তথা খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, সমস্যার সমাধানে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে কথা বলছেন তিনি। একই কথা বলছেন উত্তর ২৪ গরগনা জেলার আরটিও বোর্ড মেম্বার গোপাল শেঠ। তিনি বলেছেন, ‘‘বাস মালিকেরা দাবি পূরণের জন্য এক সরকারি দফতর থেকে অন্য দফতরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের দাবি না শুনলে বাস রুট বন্ধ হয়ে যাবে।’’