—প্রতীকী চিত্র।
ক্যানিং মহকুমা জুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রশাসন সূত্রে সেই সংখ্যা প্রায় দেড়শো। প্রতিটি ঘরেই মানুষ জ্বরে ভুগছেন। এই পরিস্থিতিতে আরও বেশি করে সচেতনতার উপরে জোর দিতে শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এক দিকে যেমন গ্রামীণ চিকিৎসকদের নিয়ে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে বৈঠক করছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা, তেমনই আশাকর্মী ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরাও গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রচার করছেন। পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানের পাশাপাশি কীটনাশক স্প্রে করা শুরু হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত সপ্তাহ পর্যন্ত ক্যানিং মহকুমায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২১ জন। এর মধ্যে ক্যানিং ১ ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি, বাসন্তী ও ক্যানিং ২ ব্লকেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তুলনায় গোসাবা ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা কম। তবে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহে কিছু রোগী বেড়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বৃহস্পতিবার বাসন্তী ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমন হালদার বৈঠক করেন। তিনি বলেন, “যে ভাবে গত কয়েক দিনে ডেঙ্গি বাড়ছে, তাতে এই রোগ প্রতিরোধ করতে গ্রামীণ চিকিৎসকদেরকে নিয়ে একটি কর্মশালা করা হয়েছে। যেহেতু গ্রামের মানুষ প্রথমে এঁদের কাছেই আসেন, সেখানে কী ভাবে এই রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হবে, কী ভাবে এলাকার মানুষকে সচেতন করতে হবে— তা নিয়ে আলোচনা হয়।”
মহকুমা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ক্যানিং মহকুমায় ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীরা বেশির ভাগই বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন। তবে স্থানীয় ভাবেও কিছু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়ির চারপাশে যাতে জল জমতে না পারে, জ্বর হলে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনও ওষুধ যেন কেউ নিজে থেকে না খান— সে দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, পঞ্চায়েতগুলিতে ঘুরে জমা জল পরিষ্কার, কীটনাশক ছড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক মুক্তিসাধন মাইতি বলেন, “গত কয়েক দিনে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশ খানিকটা বেড়েছে। কিন্তু এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই। আমরা সব দিক থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা চালাচ্ছি। মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। পাশাপাশি, প্রশাসনিক স্তরে সমস্ত উদ্যোগ করা হচ্ছে।”