Amphan

Cyclone Yaas: আমপান তছনছ করে দিয়েছিল, মৌসুনি আর ঘোড়ামারা দ্বীপে বাঁধে নজর ইয়াস-এর আগে

দফায় দফায় প্রচার চালাচ্ছে এনডিআরএফ। লক্ষ্য, দুর্যোগের অন্তত ১২ ঘণ্টা আগে স্থানীয়দের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে চলে যাওয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাগর শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২১ ১৬:৫৪
Share:

চলছে বাঁধ মেরামতির কাজ। নিজস্ব চিত্র।

আমপানের সময় ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছিল সুন্দরবনের দ্বীপাঞ্চল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এ বার ইয়াস মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ। দ্বীপাঞ্চলে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় প্রচার চালাচ্ছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-র সদস্যরা। লক্ষ্য, দুর্যোগ হানা দেওয়ার অন্তত ১২ ঘণ্টা আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে চলে যাওয়া।

Advertisement

গত বছর আমপানের তাণ্ডবে দারুণ ক্ষতি হয়েছিল নামখানা ব্লকের মৌসুনি দ্বীপ এবং সাগর ব্লকের ঘোড়ামারা দ্বীপের। দু’টি এলাকাতেই কয়েক কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে ঢুকে পড়েছিল জল। সেই ক্ষত এখনও শুকোয়নি। সেই বাঁধ সারানোর কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। সেই সঙ্গে দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য প্রচারও চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া গোসাবার বালি ১ নম্বর, বালি ২ নম্বর এবং কুমিরমারি দ্বীপেও কয়েক দফায় প্রচার চালানো হয়েছে।

পাশাপাশি, ধসখালি, সুমতিনগর, বোটখালি এলাকাতেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসার আগেই সাইক্লোন সেন্টারে চলে যাওয়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের বলা হয়েছে। একই প্রচার চালানো হয়েছে নামখানা, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, ক্যানিংয়ের বিভিন্ন এলাকাতেও।

Advertisement

নদী এবং সমুদ্রে মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল আগেই। তা সত্ত্বেও পাথরপ্রতিমা, ফ্রেজারগঞ্জ এবং গোসাবায় কয়েক জন মৎস্যজীবী নৌকা নিয়ে গিয়েছিলেন মাছ ধরতে। তাঁদের নৌকা আটক করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement