গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইয়াসিনকে
দীর্ঘ সময় পর পুলিশের অভিযানে পাকড়াও কুখ্যাত দুস্কৃতী ইয়াসিন দপ্তরি। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ফলতার নীলাম্বরপুর এলাকার সাঁপুইপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১২ লিটার নিষিদ্ধ মাদক। যার আনুমানিক বাজার মূল্য পাঁচ লক্ষের কাছাকাছি।
পূলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ইয়াসিনের বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার একাধিক থানা থানায় ১২টিরও বেশি মামলা রয়েছে।
ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলায় ঘটে চলা একের পর এক ডাকাতি এমনকি বাইক, অটো-টোটো চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনার মূলচক্রী ছিল ইয়াসিন। রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে মহারাষ্ট্রেও অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার বিভিন্ন থানাই দীর্ঘদিন ধরে তার খোঁজ চালাচ্ছিল। কিন্তু ইয়াসিন ফেরার ছিলেন। কোন ভাবেই তাঁকে পাকড়াও করা যাচ্ছিল না। মাঝেমধ্যে নিজের পরিচয় বদল করে তিনি আত্মগোপন করে থাকতেন।
তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অনেক সময় দেখা যায় এই ধরনের দুস্কৃতীদের বহু বান্ধবী থাকেন৷ প্রয়োজন মতো কোনও একজনের কাছে গিয়ে আশ্রয় নেন তাঁরা। স্বামী পরিচয় দিয়ে সেখানে থাকার পাশাপাশি ওই মহিলার মাধ্যমে এলাকায় অসামাজিক আজ সংগঠিত করত। ইয়াসিনের ক্ষেত্রেও এই ধরনের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়। সেই সকল সূত্র ধরে ইয়াসিনকে ধরতে উঠেপড়ে নামেন ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে।
সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার স্পেশল অপারেশন গ্রুপ ও বিশাল পুলিশ বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ফলতায় অভিযানে নামেন এসডিপিও। সঙ্গে ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের আইসি গৌতম মিত্র সহ ফলতা থানার আইসি, বিডিও। নীলাম্বরপুরে ইয়াসিনের বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। ঘরের মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। ঘর থেকে তাকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসা হয়৷ তার পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।