ভাগাড় সরানোর দাবিতে তাই বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। সোমবার, বারাসতের কদম্বগাছিতে। ছবি: সুদীপ ঘোষ
ভাগাড়ে ফেলা আবর্জনা থেকে বেরোনো দুর্গন্ধে প্রাণ ওষ্ঠাগত স্থানীয় বাসিন্দাদের। দিতে-রাতে ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এর জেরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতে হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে দ্রুত ভাগাড় সরানোর দাবিতে পথে নামলেন গ্রামবাসীরা। সোমবার, বারাসতের কদম্বগাছির কুবেরপুর এলাকার ঘটনা। ভাগাড় সরানোর দাবিতে এ দিন গ্রামবাসীরা এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করেন। অবস্থান বিক্ষোভও করেন তাঁরা।
বারাসত পুরসভা ও কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের এক প্রান্তে পুরসভার একটি ভাগাড় রয়েছে। পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের আবর্জনা সেখানে ফেলা হয়। অভিযোগ, সেই ভাগাড় থেকে আবর্জনা ছাপিয়ে আশপাশের চাষের জমিতে চলে যাচ্ছে বলে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। সেই সঙ্গে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধও। গ্রামবাসীদের দাবি, এর আগেও পুরসভা ও পঞ্চায়েতের কাছে এই ভাগাড় সরানোর দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও সমস্যা মেটেনি।
এ দিন গ্রামবাসীদের তৈরি ভ্যাট উচ্ছেদ কমিটির নেতৃত্বে ব্যানার, পোস্টার হাতে মিছিল করা হয়। সেই পোস্টারে লেখা ছিল— ‘ভ্যাট হটাও জীবন বাঁচাও’। টোটোয় করে চলে প্রচার। মিছিলে শামিল হওয়া মানুষের দাবি, ওই ভাগাড় সরিয়ে এলাকায় স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে হবে। তাঁদের কথায়, ‘‘ভাগাড় থেকে এমনই দুর্গন্ধ বেরোয় যে বাড়িতে ভাত খাওয়া যায় না। ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করতে পারছে না। দরজা-জানালা সর্বক্ষণ বন্ধ করে থাকতে হয়। এতে পোকামাকড়ের উপদ্রবও বেড়েছে।’’
শোচনীয়: এলাকার ভাগাড়ে এ ভাবেই স্তূপীকৃত হয়ে জমে রয়েছে জঞ্জাল। ছবি: সুদীপ ঘোষ।
বারাসত পুরসভার প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই এলাকায় জনবসতি নেই। ভাগাড়ের চারদিকে কংক্রিটের পাঁচিল দেওয়া। সেই সঙ্গে তার পাশ দিয়ে নিকাশি নালাও করে দেওয়া হবে, যাতে ভাগাড়ের ভিতরের আবর্জনা বাইরে না আসে।’’ ভাগাড় থেকে দুর্গন্ধ যাতে না ছড়ায়, সে জন্য সেখানে নিয়মিত তেল স্প্রে করা হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। তবে স্থানীয়দের একাংশের উস্কানিতে গ্রামবাসীরা এই ভাগাড় হটানোর দাবি জানাচ্ছেন বলে অভিযোগ।