Demonstration

অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভ

বছরের পর বছর ধরে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ করা হচ্ছে না। মাসের মধ্যে কোনও মতে সাত-আট দিন কাজ পেলেও বাকি দিনগুলি বেকার থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

ক্যানিং শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৩৯
Share:

ফাইল চিত্র।

বছরের পর বছর ধরে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ করা হচ্ছে না। মাসের মধ্যে কোনও মতে সাত-আট দিন কাজ পেলেও বাকি দিনগুলি বেকার থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। অস্থায়ী কর্মীরা কোনও রকম সুযোগ-সুবিধাও পাচ্ছেন না। এই সব কারণে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মীরা আন্দোলনে নেমেছেন। ৫ জানুয়ারি থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। শনিবার থেকে ক্যানিং ব্লক সিড ফার্মেও আন্দোলন শুরু করেছেন এখানকার ১২ জন অস্থায়ী কর্মী। ক্যানিং ব্লক সিড ফার্মে গত ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে যে সমস্ত কর্মীরা অস্থায়ী হিসেবে দৈনিক মজুরিতে কাজ করতেন, তাঁদের এখনও পর্যন্ত স্থায়ী করা হয়নি বলে অভিযোগ। ২০০৯ সালে ও ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সব কর্মীদের স্থায়ীকরণের জন্য যাবতীয় কাগজপত্র জমা নেন। ইন্টারভিউ হয়। তারপরেও স্থায়ীকরণ হয়নি। রাজ্য জুড়ে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাম্পাস, সিড ফার্ম মিলিয়ে প্রায় সাতশোর বেশি অস্থায়ী কর্মী আন্দোলনে নেমেছেন। এখানকার কর্মী নিমাইচন্দ্র পট্টনায়েক, হবিবর সাফুঁই, নুর ইসলাম সাফুঁইরা জানান, দৈনিক ৩২৮ টাকা রোজে কাজ করেন। মাসের মধ্যে সাত-আটদিনের বেশি কাজ পাচ্ছেন না। কর্তৃপক্ষ এখানকার জমিতে চাষের কাজ না করে বিভিন্ন কোম্পানিকে জমি লিজ দিয়ে দিচ্ছে বলে তাঁদের কাজ কমছে, এমনটাই দাবি আন্দোলনকারীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার অধিকর্তা সুধীব্রত মিত্র বলেন, ‘‘ওঁদের এই দাবি দীর্ঘ দিনের। তবে এ বিষয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু করার নেই। সমস্ত বিষয়টি সরকারি নীতির উপরে নির্ভরশীল। ওঁরা মরসুমি শ্রমিক (সিজিনাল লেবার)। ফলে যখন চাষের মরসুম হবে, তখনই ওঁদের দিয়ে কাজ করানো হবে। পাশাপাশি ওঁরা যে যে প্রোজেক্টের আওতায় কাজ করছেন, সেই প্রোজেক্টের কাজ অনুযায়ী ওঁরা কাজ পাবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement