প্রতীকী ছবি।
ফের এক জখম বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে উত্তেজনা ছড়াল ভাটপাড়ায়। শনিবার রাতে নদিয়ার কল্যাণীর একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় বীরেন্দ্র সাউ (৪৫) নামে ওই ব্যক্তির। অভিযোগ, দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিন কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে মারধর করেছিল।
বিজেপির দাবি, বীরেন্দ্র তাঁদের দলের কর্মী। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই তাঁর উপরে হামলা চালিয়েছে। তৃণমূল অবশ্য বিজেপির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাটপাড়া পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাঁকিনাড়ার ১১ নম্বর গলি এলাকার বাসিন্দা বীরেন্দ্র। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি বিজেপি করছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে বীরেন্দ্রর পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভাটপাড়া থানার পুলিশ। তাঁর পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, সপ্তমীর রাতে নিজের বাড়ির সামনে বসেছিলেন বীরেন্দ্র। সেই সময় জনা কয়েক দুষ্কৃতী এসে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। বন্দুকের বাট দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। জখম অবস্থায় তাঁকে কল্যাণীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের অভিযোগ বিজেপি করার অপরাধেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারধর করেছে। ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিংহ বলেন, “তৃণমূল রাজনৈতিক লড়াইয়ে না পেরে খুনের রাজনীতি শুরু করেছে। মানুষ সব দেখছে। ঠিক সময়ে তাঁরা সঠিক জবাব দেবেন।” ভাটপাড়ার তৃণমূল নেতা সোমনাথ শ্যাম বলেন, “বিজেপি এখন সবেতেই রাজনীতি দেখছে। ওই ব্যক্তির পুরনো শত্রুতা ছিল বলেই শুনেছি। তার জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে। ওরা মৃত ব্যক্তিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে।”