Accident

হুগলি নদীর চরে আটকে ভেসেল থেকে পড়ে যাওয়া দুই বোনেরই দেহ! ডায়মন্ড হারবারে মিলল তল্লাশিতে

ছত্তীসগঢ়ের বাসিন্দা জাকির হোসেন কলকাতার পঞ্চান্নগ্রামে বেড়াতে এসেছিলেন। রবিবার তাঁরা হুগলি নদী পেরিয়ে যান পূর্ব মেদিনীপুর বেড়াতে। সেখান থেকে ফেরার পথে ঘটে দুর্ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২২ ১৬:৩৯
Share:

উদ্ধার করা হয়েছে দেহ। — নিজস্ব চিত্র।

নদীতে তলিয়ে যাওয়া দুই বোনের দেহ পাওয়া গেল মঙ্গলবার। রবিবার সন্ধ্যায় হুগলি নদীতে তলিয়ে গিয়েছিল ওই দু’জন। তার পর থেকেই ওই নদীতে চলছিল তল্লাশি অভিযান। মঙ্গলবার হলদিয়ার কাছ থেকে উদ্ধার হয় দুই শিশুর দেহ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যেরা দেহগুলি উদ্ধার করেন। ইতিমধ্যেই দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আতিফা নাজরিন (৫) এবং সিদ্রা তাহসিন (৭)।

Advertisement

ছত্তীসগঢ়ের বাসিন্দা জাকির হোসেন সপরিবারে কলকাতার পঞ্চান্নগ্রামে বেড়াতে এসেছিলেন। রবিবার তাঁরা ডায়মন্ড হারবার থেকে হুগলি নদী পেরিয়ে গিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের একটি জায়গায় বেড়াতে। সন্ধ্যায় ভেসেলে করে কুঁকড়াহাটি থেকে ডায়মন্ড হারবার ফিরছিলেন তাঁরা। কিন্তু ভেসেল থেকে নামার সময় নদীতে পড়ে যায় জাকিরের দুই কন্যা। নদীতে জোয়ার থাকার নিমেষেই তলিয়ে যায় তারা। তার পর থেকে লাগাতার তল্লাশি চালানো হচ্ছিল হুগলি নদীতে। ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে এবং মহকুমাশাসক অঞ্জন ঘোষের তত্ত্বাবধানে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছিল। মঙ্গলবার প্রথমে উদ্ধার হয় আতিফার দেহ। তার কিছু ক্ষণ পর মেলে সিদ্রার দেহ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ হলদিয়ার কাছে চরায় আটকে থাকতে দেখা যায় ছোট বোনের দেহ। তার কিছুটা দূরে পাওয়া যায় বড় বোনের দেহ। এসডিপিও বলেন, ‘‘লাগাতার তল্লাশি চলছিল। প্রায় দু’দিন ধরে নদীতে তন্নতন্ন করে খোঁজ চলছিল। অবশেষে দুই শিশুর দেহ মিলেছে। ওদের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিতে পারব, এটাই যা সান্ত্বনার।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের পর তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে।

নিখোঁজ দুই শিশুর বাবা জাকির বলেন, ‘‘আমি দুই মেয়েকে হারিয়েছি। ভেবেছিলাম দেহও বোধহয় পাওয়া যাবে না। দুই শিশুকে অন্তত শেষ বার চোখের দেখা দেখতে পাচ্ছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement