প্রতীকী চিত্র
বেদখল হয়ে যাওয়া কার্যালয়ের চাবি ফেরত চেয়েছিল সিপিএম। সোমবার তা মিলেছে। সঙ্গে মিলেছে তৃণমূলের দেওয়া মিষ্টিও। কার্যালয় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শান্তিতে মেটায় খুশি সিপিএম এবং তৃণমূল।
বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরে বসিরহাটে সিপিএমের একটি গণসংগঠনের কার্যালয় বেদখল হয়ে যায়। অভিযোগ, ১৯৮৫ সালে তৈরি হওয়া দলের কৃষক সংগঠনের ওই কার্যালয়টির দখল নিয়েছিল তৃণমূল। রাতারাতি সেখানে তৃণমূলের পতাকা তোলা হয়। বদলে যায় ঘরের ছবিগুলিও। অনেক চেষ্টার পরেও কার্যালয়টি পুনরুদ্ধার করতে পারনি সিপিএম।
এ দিন বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে সেই কার্যালয়ের চাবি ফেরত দেওয়া হয় সিপিএম নেতাদের হাতে। সৌজন্যের দৃষ্টান্ত স্থাপনে বিধায়ক এনেছিলেন লেডিগেনি। চাবি হস্তান্তরের পরে সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য রাজু আহমেদকে মিষ্টিমুখ করান সপ্তর্ষিবাবু। পাল্টা বিধায়ককে মিষ্টিমুখ করান ওই সিপিএম নেতা। তার পরে দু’জনই শান্তির বার্তা দেন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে।
মিষ্টিমুখ-পর্বের শেষে সপ্তর্ষি বলেন, ‘‘মা-মাটি-মানুষের সরকার রাজ্যে গণতন্ত্র চায়। সাম্প্রদায়িক কোনও শক্তিকে রাজ্যে চাই না। বিরোধী হিসাবে চাই সিপিএমকে।’’ আর, রাজুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘তৃণমূল নেতাদের ধন্যবাদ। এটা সৌজন্যের নজির হয়ে থাকবে।’’
এ দিন কার্যালয়ের চাবি হস্তান্তর-পর্বে হাজির ছিলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সাহানুর মণ্ডল এবং বসিরহাট থানার আই সি সুরিন্দার সিংহ। সাহানুর বলেন, ‘‘কোনও দলের কার্যালয় দখল করা আমাদেরদলের সংস্কৃতি নয়। যারা করেছিল, তাদের সেই কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ আমরা কারও কার্যালয় দখল করলে, কাল অন্য কেউ আমাদের কার্যালয়ের দখল নেবে। এই পরম্পরা চলতেই থাকবে। আমরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে।’’
বিধায়ক বলেন, ‘‘আমি রাজনীতির মানুষ কোনওদিনই ছিলাম না। চিকিৎসক ছিলাম। এখন বিধায়ক হয়েছি। সিপিএমের কার্যালয় দখল করা হয়েছে, এই অভিযোগ পেয়েই আমি সেটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কথাবার্তা শুরু করি। পুলিশও এ বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে।’’
রাজুর বক্তব্য, ‘‘আমরা দলীয় কার্যালয় দখলের রাজনীতি করি না। এই এলাকায় সিপিএম এবং তৃণমূলের বহু কর্মী আছেন। শান্তি রেখেই কার্যালয় পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছি।’’