রাতেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ইসরাইল গাজিকে। —প্রতীকী চিত্র।
দম্পতির উপস্থিত বুদ্ধিতে ধরা পড়ে গেল চোর। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটেছে। ধৃতের নাম ইসরাইল গাজি। সে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা।
সূত্রের খবর, অকুরপুকুর থানা এলাকার সখেরবাজার সংলগ্ন শীলপাড়ার তিন তলার বাড়ির এক তলায় পরিবার নিয়ে থাকেন প্রশান্ত দাস। বাড়ি সংলগ্ন একটি মুদির দোকান রয়েছে তাঁর। ওই সন্ধ্যায় মামারবাড়িতে গিয়েছিল তাঁর মেয়ে। বিকেলে দোকানে ছিলেন প্রশান্তর স্ত্রী টুসি। সন্ধ্যা ছ'টা নাগাদ বাড়ির গেটে তালা দিয়ে প্রশান্ত দোকানে যান। ফলে তাঁদের বাড়ি ফাঁকা ছিল। টুসির কথায়, “প্রশান্ত আসতেই আমি বাড়ি ফিরি। সামনে গিয়ে গেট খোলা দেখে সন্দেহ হওয়ায় দোকানে ফিরে আসি। প্রথমে ভেবেছিলাম, প্রশান্ত হয়তো তালা দিতে ভুলে গিয়েছে। কিন্তু প্রশান্ত তালা দিয়ে এসেছিল জানালে দু’জনেই বাড়িতে ফিরি।” টুসি জানান, দ্বিতীয় বার বাড়ির সামনে যেতেই এক ব্যক্তিকে ভিতরে দেখেন তাঁরা। চোর ঢুকেছে বুঝতে পেরে তাঁরা বাইরের গেটে তালা দিয়ে পুলিশে খবর দেন। টুসি বলেন, “তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকেছিল চোর। আমরা ‘চোর, চোর’ বলে চিৎকার করলে পিছনের গেট দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তবে দু'টো গেটেই তালা দিয়েছিলাম আমরা।” রাতেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ইসরাইল গাজিকে।
জানা গিয়েছে, নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা, শাড়ি, গয়না ও মোবাইল ফোন হাতিয়েছিল অভিযুক্ত। এমনকি, ঘরের আলমারিও ভাঙা হয়েছিল। তবে টাকা এখনও মেলেনি বলে দম্পতির দাবি। ফলে অভিযুক্তকে বাইরে থেকে কেউ সাহায্য করেছিল কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃত ইসরাইলের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।