Coronavirus

আক্রান্তদের বাঁচাতে প্লাজমা দেবেন হাবড়ার সেই তরুণী  

জানালেন, যে ভাবে এই রোগে এত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন, তা তাঁকে উদ্বিগ্ন করছে।   তাই যখন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে বৃহস্পতিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রস্তাব দেওয়া হয়, নিজের প্লাজমা দান করার— তরুণী রাজি হয়ে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

হাবড়া শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২০ ০৩:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি

তিনি নিজেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। হাবড়ার বাসিন্দা ওই তরুণীর প্লাজমার নমুনা চেয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এক কথায় রাজি হয়ে গিয়েছেন তিনি।

Advertisement

জানালেন, যে ভাবে এই রোগে এত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন, তা তাঁকে উদ্বিগ্ন করছে। তাই যখন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে বৃহস্পতিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রস্তাব দেওয়া হয়, নিজের প্লাজমা দান করার— তরুণী রাজি হয়ে যান।

করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় দেশ বিদেশে প্লাজমা থেরাপি খুবই কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে। এ রাজ্যেও প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

Advertisement

শনিবার ওই তরুণী বলেন, ‘‘এই মারণ রোগের কোনও ওষুধ বা প্রতিষেধক এখনও তৈরি হয়নি। আমার দান করা প্লাজমায় যদি করোনা আক্রান্তেরা সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন, এর থেকে ভাল আর কিছু হয় না। আমি জানিয়ে দিয়েছি, প্লাজমা দিতে প্রস্তুত।’’ তরুণীর কথায়, ‘‘আমাকে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে বাড়িতে গাড়ি পাঠিয়ে আমাকে নিয়ে যাওয়া হবে। প্লাজমা দেওয়ার আগে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।’’

হাবড়ার বাসিন্দা ওই তরুণী এর আগেও অবশ্য সচেতনার পরিচয় দিয়েছেন। স্কটল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা সেখান থেকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চলে যান। শরীর খারাপ ছিল তাঁর। কোনও রকম ঝুঁকি নেননি। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন, ৪-৫ দিন নিভৃতবাসে থাকতে। তরুণী সিদ্ধান্ত নেন, আইডি হাসপাতালেই থেকে যাবেন।

করোনা আক্রান্তের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি কার্যকরী বলে চিকিৎসকেরা মনে করছেন। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের ইনচার্জ, চিকিৎসক গোপাল পোদ্দার বলেন, ‘‘বাইরের দেশে এবং করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি ভাল কাজ দিচ্ছে। একই পদ্ধতিতে দিল্লিতেও ভাল ফল মিলেছে। মৃত্যুর হার কমাতে সাহায্য করছে।’’

প্লাজমা থেরাপি কী? চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ হয়ে গেলে তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। তাঁদের শরীর থেকে প্লাজমা নিয়ে নতুন আক্রান্তদের শরীরে দিলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement