Coronavirus

লকডাউন না মানায় পাকড়াও, তবু কমছে না ভিড়

পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়া নিষেধ রয়েছে। ধৃতদের কোয়রান্টিনে রাখা হবে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৪৫
Share:

লুকিয়ে ভিন জেলা থেকে ফেরার পথে কাকদ্বীপে ১০ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার দুপুরে কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট কোস্টালের লট ৮ ঘাটের কাছ থেকে ওই ১০ জনকে পুলিশ ধরে। সকলের বাড়ি সাগর এলাকায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় সাগরের ১০ জন ও পাথরপ্রতিমার ১৮ জন শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন। একটি আলুর গাড়িতে করে লুকিয়ে লট ৮ ঘাটে পৌঁছন সকলে। খবর পেয়ে ওঁত পেতেছিল পুলিশ। ১০ জন ধরা পড়লেও বাকিরা পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়া নিষেধ রয়েছে। ধৃতদের কোয়রান্টিনে রাখা হবে।

অন্য দিকে, ডায়মন্ড হারবার মহকুমায় লকডাউন ভাঙার অভিযোগে এ দিন সকালে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। লকডাউন উপেক্ষা করে রোজ সকালেই ভিড় হচ্ছিল জয়নগরের নতুনহাট বাজারে। শারীরিক দুরত্বও মানা হচ্ছিল না বলে অভিযোগ।

Advertisement

ধরপাকড় চলে বাগদা ও গাইঘাটাতেও। অকারণ রাস্তায় বেরনোর জন্য বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরেও বনগাঁর বাজার এলাকায় ভিড় কমছে না। এ দিনও টোটো-অটো-বাইক-ভ্যান চলতে দেখা গিয়েছে। গোপালনগর হাটে কাতারে কাতারে মানুষ জমায়েত হয়েছেন।

লকডাউনের মধ্যে হাসনাবাদ থানার মহিষপুকুর গ্রামে রবিবার দুপুরে ২০-৩০ জনকে গা ঘেঁষাঘেষি করে গুলি খেলতে দেখা গেল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ রকম রোজই চলছে। গ্রামের ভিতরে পুলিশি টহল নেই বলে সেখানে দেদার ভিড় হচ্ছে। হাসনাবাদের বাইলানি বাজারে রবিবার ভোরে মাছের আড়তে প্রচুর বিক্রেতার ভিড় হয়। বসিরহাটে অবশ্য পুলিশ গ্রেফতার করেছে। দোকান খোলা এবং বিনা কারণে রাস্তায় বের হওয়ায় ৬ ব্যবসায়ী-সহ মোট ২৯ জনকে ধরেছে তারা। এ দিন সকালে বসিরহাট থানার সামনে থাকা একটি মিষ্টির দোকানে পুলিশ হানা দেয়। সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে বেলা ১২টার পরিবর্তে সকাল ৯টা থেকেই দোকান খুলছিলেন মালিক অসীম দাস। তিনি ছাড়াও কয়েকজন মণিহারি ও চায়ের দোকানিকেও পাকড়াও
করে পুলিশ।

এ দিন সকাল থেকেই ধরপাকড় চলে কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, নৈহাটি, শ্যামনগর, ইছাপুর ও ব্যারাকপুরেও। অকারণে রাস্তায় থাকার জন্য পুলিশ বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে।

অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement