সাহায্য: বসিরহাটের গ্রামে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
করোনা-আবহে সিল করা হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। তারপরেও কাঁটাতার পেরিয়ে কেউ যাতে চলে না আসে, সে দিকেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে এ জন্য মানুষকেও সচেতন করা হচ্ছে। যাতে কেউ বাংলাদেশ থেকে এ দেশে ঢুকলে সে খবর পুলিশ-প্রশাসনের কানে পৌঁছে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে বসিরহাটেরক সীমাম্তবর্তী কিছু গ্রামে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ। সেই সঙ্গে মানুষকে সচেতন থাকার বার্তাও দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বসিরহাট জেলার পুলিশ সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই গিয়েছিলেন ঘোজাডাঙা সীমান্তে। ছিলেন এসডিপিও অভিজিৎ সিংহ মহাপাত্র, আইসি প্রেমাশিস চট্টরাজ। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে গ্রামবাসীদের হাতে রান্না খাবারের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। করোনা সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশ গ্রামবাসীদের বলা হয়েছে, বাইরের লোক গ্রামে ঢুকলেই যেন তাঁদের খবর দেওয়া হয়। টাকার লোভে এই পরিস্থিতিতে কেউ যেন অচেনা মানুষজনকে আশ্রয় দিয়ে রোগ ডেকে না আনেন। এলাকার বাসিন্দা খগেন দাস, রতন দাস জানান, কাঁটাতারের বেড়ার পাশাপাশি খোলা সীমান্তও রয়েছে এলাকায়। বিএসএফ পাহারা দিলেও খোলা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা গ্রামে ঢুকে লুটপাট চালায়। আবার সে পথ দিয়েই অনুপ্রবেশও হয়। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক সময় ওপারের বাসিন্দারা এ পারে এসে প্রথম অবস্থায় কিছু দিন গ্রামের কোনও বাসিন্দার বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকে। বিনিময়ে বাড়িওয়ালা কিছু টাকা পান। এখন যদি তেমন কিছু ঘটে, তা হলে করোনা-বিপদ বাড়বে। তেমন কিছু ঘটলে এই অবস্থায় পুলিশ বা সীমান্ত রক্ষীদের পক্ষে জানা কঠিন। ফলে ভরসা সেই গ্রামের বাসিন্দারাই।
পুলিশ সুপার বলেন, “বাংলাদেশ থেকে কেউ এ পারে এলে তা আগে জানবেন এখানকার মানুষ। এই সময় কেউ যদি সীমান্ত পেরিয়ে এ পারে আসে, তাতে সব থেকে আগে বিপদে পড়বেন এলাকার বাসিন্দারাই। সে কথা বোঝানো হচ্ছে। তা ছাড়া, গ্রামের দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাবারও বিলি করা হচ্ছে।’’