Coronavirus

শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই বিক্ষোভ 

বিক্ষোভকারীদের দাবি, এতদিন ধরে যতটা কম রেশন দিয়েছেন ডিলার, সেই রেশন এখন দিয়ে দিতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২০ ০৬:২৩
Share:

বিক্ষোভে সামিল শিশুরাও। —নিজস্ব চিত্র

সঠিক পরিমাণে রেশন দেওয়ার দাবিতে গ্রামবাসীরা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখালেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে বিক্ষোভ চলে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মিনাখাঁ থানার ধুতুরদহ পঞ্চায়েতের গোয়ালদহ গ্রামে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে খবর, এ দিন সকাল দশটা নাগাদ গোয়ালদহ গ্রামের বাসিন্দারা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই গ্রামের রেশন দোকানের সামনে রাস্তার দু’পাশ দিয়ে সঠিক ভাবে রেশন দেওয়ার দাবি জানাতে শুরু করেন। বাচ্চারাও বিক্ষোভে সামিল ছিল। বিভিন্ন বয়সিদের হাতে কাগজের থালায় লেখা ছিল—‘রেশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জবাব চাই, ‘আমাদের সঠিক পরিমাণে রেশন দিতে হবে।’ সেই সঙ্গে থালা বাজিয়ে ডিলারের বিরুদ্ধে স্লোগানও দিলেন তাঁরা। প্রায় সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত এ ভাবেই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। গ্রামবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে গোয়ালদহ গ্রামের রেশন ডিলার মোজাম আলি মল্লিক রেশন কম দিচ্ছেন। রেজ্জাক আলি মোল্লা, রমজান পাইক, মনিরুল ইসলাম মোল্লারা বলেন, ‘‘বহুদিন ধরেই এই রেশন ডিলার রেশন কম দিচ্ছেন। বিশেষ করে এখন লকডাউনের সময়ে কাজ করতে পারছি না। তাই রেশনের চাল-আটা খেয়েই বেঁচে আছি। কিন্তু এখনও আটা রেশন কার্ড পিছু কম দেওয়া হচ্ছে।’’ রিয়াজুল মোল্লা নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘আমাদের রেশন কার্ড তিনটে। তাই ৯ প্যাকেট আটা পাওয়ার কথা। কিন্তু সব মিলিয়ে আমাদের সাত প্যাকেট আটা দেওয়া হয়েছে। এ ভাবে সকলকেই বহুদিন ধরে জিনিস কম দেওয়া হচ্ছে।’’ গ্রামবাসীরা জানান, এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসনকে বারবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তাই করোনা-আতঙ্কের মধ্যেই লকডাউন চলছে জেনেও পেটের দায়ে এ ভাবে পথে নামতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, এতদিন ধরে যতটা কম রেশন দিয়েছেন ডিলার, সেই রেশন এখন দিয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে আগামী মাস থেকে সঠিক পরিমাণে রেশন দেওয়ার অঙ্গীকারও করতে হবে। অভিযুক্ত ডিলার মোজাম আলি মল্লিক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে এই সব হল। আমি সঠিক ভাবেই সরকারি বরাদ্দমতো রেশন দিয়েছি।’’ এ বিষয়ে মিনাখাঁর বিডিও কামরুল ইসলাম বলেন, ‘‘গ্রামবাসীরা গোটা বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন। তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement