প্রতীকী ছবি
দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারবার রাজ্যবাসীকে জমায়েত না-করার আবেদন জানিয়েছেন। এরই মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁর উপস্থিতিতেই মঙ্গলবার দুপুরে বিয়ের অনুষ্ঠানে পাত পেড়ে খেয়েছেন প্রচুর মানুষ।
মঙ্গলবার শাসন থানার ফলতি বেলিয়াঘাটা এলাকায় তৃণমূল নেতা তথা ওই এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য এখলাছউদ্দিনের বউভাতের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ দিন ওই বাড়িতে প্রায় ৫০০ জন এসেছিলেন। ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন এলাকার মানুষ এবং দুই বাড়ির আত্মীয়েরা। বেশির ভাগ নিমন্ত্রিত মাস্ক পরে থাকলেও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনও বালাই ছিল না। যদিও এখলাছউদ্দিন দাবি করেন, ‘‘লোকজন এসে নববধূকে আশীর্বাদ করে, খেয়ে চলে গিয়েছেন। মাস্ক পরেছিলেন সবাই। শারীরিক দূরত্বও বজায় ছিল।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ফলতি বেলিয়াঘাটার পঞ্চায়েত প্রধান নজিবুল রহমান এবং আরও অনেক তৃণমূল নেতা। এ দিন নজিবুল অবশ্য দাবি করেন, ‘‘বিয়েবাড়িতে যেন লোকের জমায়েত না-হয়, সে কথা জানাতেই আমি ও পঞ্চায়েতের সদস্য মেহেদি হাসান ওখানে গিয়েছিলাম।’’
অনুষ্ঠান চলাকালীন খবর পেয়ে সেখানে যায় শাসন থানার পুলিশ। তত ক্ষণে বেশির ভাগ নিমন্ত্রিতই চলে গিয়েছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি। লকডাউন চলাকালীন কেন বিয়ের আসর চলছিল, তা জিজ্ঞাসা করলে বারাসত পুলিশ জেলার সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিয়ে হতেই পারে। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই জমায়েত বরদাস্ত করা হবে না। কী ভাবে, কী হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)