আটকে এঁরা। নিজস্ব চিত্র
চিকিৎসা করাতে যেতে হয়েছিল বেঙ্গালুরু। কিন্তু লকডাউনের কারণে সেখানে আটকে পড়েছেন বসিরহাটের এক পরিবারের চার সদস্য। সুস্থ হওয়ার পরে রোগীও ফিরতে পারছেন না বাড়িতে।
বসিরহাট পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নমিতা সাহার ভাগ্নে মণিশঙ্কর সাহা দেগঙ্গায় সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করেন। ভলিবল খেলতে গিয়ে তাঁর পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছিল। ১০ মার্চ চিকিৎসা করাতে তিনি বেঙ্গালুরু যান। ১৩ মার্চ তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়। ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি। ২৩ মার্চ তাঁদের বসিরহাটের বাড়িতে ফেরার কথা ছিল।
সবই ঠিক চলছিল। কিন্তু তাল কাটল করোনা-সংক্রমণের জেরে দেশ জুড়ে লকডাউন শুরু হওয়ায়। কেননা তাঁরা তখন বেঙ্গালুরুতেই আটকে পড়েন। সুস্থ মণিশঙ্করকে নিয়ে তাঁর পরিবারের তিন সদস্য নমিতা সাহা, সৌরভ সাহা এবং বেলা সাহা বাড়ি ফিরতে পারছেন না।
এ দিকে, হাতে টাকা প্রায় শেষ। কোনও রকমে চিঁড়ে-মুড়ি খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। বসিরহাটের একটি স্বেচ্ছাসেবীর সংস্থার বেঙ্গালুরুতেও একটি শাখা আছে। বসিরহাট থেকে সেই শাখায় মণিশঙ্করদের অসহায়তার কথা জানানো হলে বেঙ্গালুরুর সংস্থাটির প্রতিনিধিরা মণিশঙ্করদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁদের কিছু সাহায্যও দেন।
বসিরহাটের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে অমৃতেন্দু ঘোষ রায় বলেন, ‘‘পরিবারটিকে কিছু খাবার দেওয়া হয়েছে ঠিকই, তবে এখন ওঁদের সরকারি ভাবে ফেরানোর উদ্যোগ করাটাই বেশি জরুরি।’’
স্থানীয় বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্র, বেঙ্গালুরু এবং কেরলে বসিরহাটের অনেকেই আটকে আছেন। বিষয়টি আমি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে এনেছি। তিনি ভিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু লকডাউন না মিটলে তো কিছু করা যাবে না। আপাতত যাতে তাঁদের খাওয়ার অসুবিধা না হয়, সেটা প্রশাসনিক ভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’’