প্রতীকী ছবি
বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হল দু’জন। আহতদের নাম তাপস সর্দার ও রাজারাম সর্দার। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের ইটখোলা পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বুদোখালি গ্রামে। সেখানে বিবেকানন্দ এসএসকে নামে একটি প্রাথমিক স্কুলের ঘরে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ঘটনার পরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তাদের আটক করে কুলতলি থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, লকডাউনের জেরে স্কুল বন্ধ। ফাঁকা স্কুলের ঘরে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। এলাকার যুব তৃণমূল নেতার নির্দেশে সেখানে বোমা বাঁধা হচ্ছিল বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিস্ফোরণে ঝলসে যায় তাপস ও রাজারাম।
অভিযোগ, জখম তাপস ও রাজারামকে এক যুব তৃণমূল নেতার গাড়িতে করে কুলতলি নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানায়, এলাকায় রক্তের দাগ ছিল। রক্তের দাগ মেলে ওই নেতার গাড়িতেও। গাড়িটি আটক করা হয়েছে। তাপস ও রাজারামকে স্থানীয় জামতলা ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। সেখান থেকে রাতেই বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ইটখোলা পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খতিব সর্দার বলেন, ‘‘আমাকে খুনের জন্যই ওই যুব তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে বোমা বাঁধা হচ্ছিল। এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাস চালাচ্ছে ওই নেতা।’’ এ বিষয়ে একাধিকবার ওই নেতাকে ফোন করা হয়েছে। তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএসেরও উত্তর মেলেনি।
ক্যানিং ১ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি পরেশরাম দাস বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তিকে তিন মাস আগেই ইটখোলা যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় যুব তৃণমূলের কোনও হাত নেই। পুলিশ যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করুক।’’