প্রতীকী ছবি।
লকডাউনের শুরু থেকে জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সাড়ে তিন মাসে ক্যানিং মহকুমায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রায় দেড়শো জন। কিন্তু গত এক মাসে নতুন করে আরও সাড়ে তিনশো মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। শনিবারের হিসেব অনুযায়ী, এই মহকুমায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা পাঁচশো।
গত কয়েক দিনে ক্যানিং মহকুমায় দ্রুত গতিতে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। মহকুমা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত ক’দিনে ক্যানিং ১, বাসন্তী ও গোসাবা ব্লকে প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে সংক্রমণ। ক্যানিং ১ ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৬ জন। বাসন্তী ব্লকে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৬ জন। পাশাপাশি গোসাবা ব্লক, যেখানে প্রথম থেকে সংক্রমণ যথেষ্ট কম ছিল, সেখানেও গত কয়েক দিনে যথেষ্ট পরিমানে বেড়েছে সংক্রমণ। বর্তমানে গোসাবা ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮। সংক্রমণ রুখতে গোসাবা থানা, বাজার, বিডিও অফিস এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হয়েছিল। গোসাবা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকে গোসাবা বাজার এলাকা ২৩ অগস্ট পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার থেকে গোসাবা বাজার ও সংলগ্ন এলাকা খুলে দেওয়া হচ্ছে বলে ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকে জানানো হয়েছে। অন্য দিকে, ক্যানিং ২ ব্লকেও আক্রান্তের সংখ্যা একশো ছাড়িয়েছে। বর্তমানে এই ব্লকে ১০১ জন করোনা আক্রান্ত। এ পর্যন্ত ক্যানিং মহকুমায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মানুষ দ্রুত সুস্থও হচ্ছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এ পর্যন্ত পাঁচশোর বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও ইতিমধ্যে ৩৫৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকি ১৩৫ জনের শরীরে সংক্রমণ থাকলেও বেশিরভাগ মানুষজনকেই বাড়িতে গৃহনিভৃতবাসে থাকতে বলা হয়েছে মহকুমা স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে। যাঁদের শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনও সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তাঁদের ক্যানিং স্টেডিয়ামের অস্থায়ী কোভিড হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। মূলত বয়স্ক মানুষজনকেই হাসপাতালে রেখে চিকিৎসায় প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। ক্যানিং মহকুমার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরেশ সর্দার বলেন, ‘‘সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়ছে ঠিকই, তবে দ্রুততার সঙ্গে মানুষ সুস্থও হচ্ছেন। সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য।’’ পরিসংখ্যান বলছে, শতকরা ৮ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, আগে যেটা ছিল ৬ শতাংশ। তবে সংক্রমণ বাড়লেও মৃত্যু সে ভাবে বাড়েনি বলেই দাবি স্বাস্থ্য কর্তাদের।