Coronavirus in West Bengal

করোনা জয় করে কাজে ফিরলেন প্রবীণ নার্স

পুরসভার সাস্থ্য অধিকর্তা আবীর দত্ত বলেন, “দুই ডাক্তার, নার্স যে ভাবে করোনা জয় করে ফিরে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, তা প্রশংসনীয়।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাসনাবাদ শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২০ ০১:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি

অবসরের পরেও চুক্তি ভিত্তিতে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। করোনা পরিস্থিতিতে তৈরি কোভিড কেয়ার দলেও যোগ দেন। করোনা আক্রান্তদের নিয়ে কাজ করতে করতেই নিজে আক্রান্ত হন। তবে করোনাকে জয় করে ফের কাজে যোগ দিয়েছেন বছর সাতষট্টির পদ্মা মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

টাকির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পদ্মা ১৯৮২ সালে কর্মজীবন শুরু করেন পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের নার্স হিসেবে। এরপর ১৯৮৬ সাল থেকে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে কয়েক বছর কাজ করেছেন। ২০০২ সাল থেকে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ২০১৩ সালে অবসর নেওয়ার পর টাকি পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে কাজ শুরু করেন। পুরসভার কোভিড কেয়ার টিমের সদস্য হিসেবে বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকা এলাকার করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাড়িতে গিয়ে নজরদারি চালিয়েছেন তিনি। এর মধ্যেই তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। গত ১০ অক্টোবর টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করান। তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তাঁর ১৮ বছরের মেয়েরও করোনা ধরা পড়ে। এরপর থেকেই নিভৃতবাসে ছিলেন তিনি। ১৬ অক্টোবর ফের পরীক্ষা করালে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপরই ফের কাজ শুরু করেন পদ্মা। তিনি বলেন, “আমার বয়স হয়েছে, তাই একটু ভয় ছিলই। কিন্তু যে ভাবে করোনাকে হারিয়েছি, তাতে আর ভয় পাই না। এ বার নিজের দায়িত্ব পালন করতে চাই। সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের বলব, সাবধানে থেকে নিজের দায়িত্ব পালন করে যান।” টাকি পুরসভার কোভিড কেয়ারে কর্মরত ৩৭ বছর বয়সী চিকিৎসক লুসি বিশ্বাসও সম্প্রতি করোনামুক্ত হয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন। বেলঘরিয়ার বাসিন্দা লুসি ২০১৫ সাল থেকে এখানে কাজ করছেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর তাঁর করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। নিভৃতবাসে কাটিয়ে ১২ অক্টোবর থেকে কাজে যোগ দেন তিনি। লুসি বলেন, “বাড়িতে ছোট বাচ্চা রয়েছে। বাচ্চার থেকে দূরে থাকা খুব কঠিন ছিল। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিল পরিবার। সেরে উঠলেও শরীর খুব দুর্বল। একটু কাজ করলেই হাঁফিয়ে যাচ্ছি।” পুরসভার সাস্থ্য অধিকর্তা আবীর দত্ত বলেন, “দুই ডাক্তার, নার্স যে ভাবে করোনা জয় করে ফিরে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, তা প্রশংসনীয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement