হাবড়ায় মাস্ক ছাড়াই ঘোরাঘুরি। ছবি: সুজিত দুয়ারি
কপুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, বুধবার থেকে ৮ দিনের পূর্ণ লকডাউন শুরু হচ্ছে। রবিবার থেকেই অবশ্য শহর এলাকায় বাজার দোকানপাট খোলা এবং বন্ধ করার সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থা চলবে আজ, মঙ্গলবার পর্যন্ত। এই দিনগুলিতে সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বাজার-দোকান খোলা থাকছে।
সোমবার শহরের ৩ মহিলা সহ ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পুরপ্রশাসক নীলিমেশ দাস বলেন, ‘‘সোমবার ৫ জনের রিপোর্ট এসেছে। তাঁরা করোনা পজ়িটিভ। বাড়ি হিজলপুকুর, বাণীপুর, দক্ষিণ হাবড়া এবং কামারথুবা এলাকায়। সব মিলিয়ে হাবড়া শহরে সোমবার পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০৭ জন। করোনা আক্রান্ত হওয়া ৪ জন মারা গিয়েছেন।’’
একাধিকবার বলা সত্ত্বেও বিধিনিষেধ মানছিলেন না অনেকেই। সমস্ত নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছিল অবাধ যাতায়াত। বাজারে দোকানে মাস্ক না পরেই চলছে বেচাকেনা। শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা হচ্ছিল না।
এই পরিস্থিতিতে তাই পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিল হাবড়া পুরসভা। সম্প্রতি স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি শহর এলাকায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত ওই লকডাউন চলে। অভিযোগ, সেই লকডাউন উঠতেই বাজারে, সড়কে ভিড় উপচে পড়েছিল।
লকডাউনের দিনগুলিতে মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোননি। পুলিশের ধরপাকড় ও নজরদারি ছিল। সব মিলিয়ে মনে করা হচ্ছিল, মানুষ বোধহয় সচেতন হচ্ছেন।
কিন্তু লকডাউন উঠতেই দেখা গেল, শহরবাসী সচেতন হননি। সে জন্যই ফের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা।
পরিযায়ী শ্রমিকদের সূত্রে প্রথম করোনা ধরা পড়ে এলাকায়। তারপর কলকাতা যোগাযোগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মানুষ। এখন স্থানীয় ভাবেও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। বাণীপুর এলাকায় ৫০ শয্যার একটি সেফ হাউস তৈরি করা হচ্ছে।