Coronavirus in West Bengal

টাকিতে বন্ধ হচ্ছে বাজার-দোকান

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা  

হাসনাবাদ শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২০ ০৬:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনা সংক্রমণ আটকাতে আজ, মঙ্গলবার থেকে এক সপ্তাহ স্থানীয় দোকান-বাজার সব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল টাকি পুর কর্তৃপক্ষ। তবে বন্ধের দিনগুলিতে ওষুধ সহ জরুরি পরিষেবা সচল রাখা থাকবে।

Advertisement

এ বিষয়ে টাকি পুরসভার প্রশাসক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুর এলাকায় যে ভাবে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছে, তাতে মানুষ রীতিমতো আতঙ্কিত। ইতিমধ্যে টাকি পুর এলাকায় ১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস মিলেছে। তাঁদের মধ্যে একজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তাই করোনা সংক্রমণ আটকাতে আপাতত সাত দিন টাকি, হাসনাবাদ এলাকায় কড়া লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে।’’

সোমনাথের কথায়, ‘‘কেবল লকডাউন করলেই হবে না, অন্তত মানুষকে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বাইরে বের হলে চলবে না। ঘন ঘন হাত ধুতে হবে, মাস্ক পরতে হবে।’’

Advertisement

সম্প্রতি বাদুড়িয়া এবং বসিরহাট পুর কর্তৃপক্ষ এবং এলাকার ব্যবসায়ী সহ স্বরূপনগর ব্লকের একটি পঞ্চায়েতের পক্ষে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দোকান-বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দোকান ও বাজার বন্ধ ঘোষণা করে একই পথে হাঁটল টাকি পুর কর্তৃপক্ষ। এই বন্ধের বিষয়ে পুরবাসীদের জানানোর জন্য ইতিমধ্যে টাকি, হাসনাবাদ এলাকায় মাইকে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। বসিরহাট, টাকি এবং বাদুড়িয়ার মানুষের কাছে থেকে অবিলম্বে উপযুক্ত পরিকাঠামো সহ কোভিড হাসপাতাল, স্যানিটাইজ়ারের জন্য গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স এবং শববাহী গাড়ির জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাট মহকুমায় ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাতশো পেরিয়েছে। প্রতিদিন ৩০-৪০ জন করে সংক্রমিত হচ্ছেন। এই অবস্থায় চিন্তিত টাকির পুরবাসীরা। তাদের দাবি, একটা বড় অংশের মানুষকে লকডাউন মানতে দেখা যাচ্ছে না। সকালে হাসনাবাদ বাজারে গেলে দেখা যাচ্ছে গায়ে গা লাগিয়ে, মুখে মাস্ক না পরে উপচে পড়ছে ভিড়। স্থানীয় বাসিন্দা কমল বন্দ্যোপাধ্যায়, রঞ্জন মুখোপাধ্যায়, শ্যামলী চক্রবর্তী, শম্পা চৌধুরীরা বলেন, ‘‘দোকান-বাজার বন্ধ করলে অনেক মানুষের অসুবিধা হবে ঠিকই, তবে এর ফলে যদি সংক্রমণ কমে, তা সকলের জন্যই ভাল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement