COVID19

ক্যানিং মহকুমায় হাজার ছাড়াল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা

ক্যানিং মহকুমা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত ক’দিনে ক্যানিং ১, ক্যানিং ২, বাসন্তী ও গোসাবা ব্লকে প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে সংক্রমণ। বর্তমানে ক্যানিং ১ ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮৭ জন। এর মধ্যে ১৪৩ জন এখনও পজ়িটিভ রয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:০৬
Share:

প্রতীকী চিত্র

গত কয়েক দিনে ক্যানিং মহকুমায় বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। লকডাউনের শুরু থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত চার মাসে ক্যানিং মহকুমায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন মাত্র দেড়শোর কিছু বেশি মানুষ। কিন্তু গত দু’মাসে নতুন করে আরও প্রায় ন’শো মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবারের হিসেব অনুযায়ী, এই মহকুমায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১০৪৩।

Advertisement

ক্যানিং মহকুমা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত ক’দিনে ক্যানিং ১, ক্যানিং ২, বাসন্তী ও গোসাবা ব্লকে প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে সংক্রমণ। বর্তমানে ক্যানিং ১ ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮৭ জন। এর মধ্যে ১৪৩ জন এখনও পজ়িটিভ রয়েছেন। ৯ জনের মৃত্যু হলেও বাকিরা চিকিৎসার পরে সুস্থ হয়েছেন। বাসন্তী ব্লকে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩৮ জন। যার মধ্যে ২০২ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন। ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও এই ব্লকে অসুস্থ ৩১ জন। ক্যানিং ২ ব্লকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০৭। এই ব্লকের ৪৩ জন এখনও অসুস্থ। বাকিরা চিকিৎসার পরে সুস্থ হয়েছেন। পাশাপাশি গোসাবা ব্লক, যেখানে প্রথম থেকেই সংক্রমণ যথেষ্ট কম ছিল— সেখানেও মোট ১১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ৬৭ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন। তবে এখনও ৪৪ জন অসুস্থ রয়েছেন এই ব্লকে। এ পর্যন্ত এই ব্লকে একজনেরও মৃত্যু হয়নি।

এ পর্যন্ত ক্যানিং মহকুমায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণের ফলে। পাশাপাশি দ্রুত সুস্থও হচ্ছেন বহু মানুষজন। এক হাজারের বেশি মানুষ এই মহকুমায় আক্রান্ত হলেও ৭৭০ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল, মহকুমাশাসকের দফতর সহ একাধিক সরকারি দফতরের কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। শরীরে সংক্রমণ থাকলেও উপসর্গহীন মানুষজনকে গৃহনিভৃতবাসে থাকতে বলা হয়েছে মহকুমা স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে। যাঁদের শরীরে উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের সেফ হোমে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। যাঁদের শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনও সমস্যা দেখা দিচ্ছে, শুধুমাত্র তাঁদেরই ক্যানিং স্টেডিয়ামের অস্থায়ী কোভিড হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। মূলত বয়স্ক মানুষজনকেই হাসপাতালে রেখে চিকিৎসায় প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। ক্যানিং মহকুমার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পরিমল ডাকুয়া বলেন, “আতঙ্কিত হওয়ায় কিছু নেই। এই সময়ে প্রয়োজন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা। সচেতনতা অবলম্বন করলেই এই সংক্রমণকে মোকাবিলা করা সম্ভব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement