প্রতীকী ছবি।
গ্রামাঞ্চলের থেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি শহরে। তবে যে ভাবে গ্রামীণ এলাকার মানুষকে মাস্ক ছাড়া ঘুরতে দেখা যাচ্ছে, তাতে সংক্রমণের হার বাড়তে সময় লাগবে না বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
লকডাউন করেও সংক্রমণ না কমার ফলেই চিন্তা বাড়ছে সব মহলে। বসিরহাটের তিনটি পুর এলাকায় সংক্রমণ বেড়েই চলেছে।
বসিরহাট মহকুমায় ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বারোশো ছাড়িয়েছে। বসিরহাট পুরসভার প্রশাসক তপন সরকার বলেন, ‘‘এর মধ্যে কেবলমাত্র বসিরহাট পুরসভার ২৩টি ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। প্রতিদিন ১২-১৪ জন করে সংক্রমিত হচ্ছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স, শববাহী গাড়ি রাখার পাশাপাশি সেফ হোম করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের কাছে শহরে একটা কোভিড হাসপাতালের দাবি জানানো হয়েছে। যে এলাকায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, সেখানে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, গত এক দিনে বসিরহাট পুরসভার এক কাউন্সিলর ও তাঁর পরিবার-সহ ১২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই খবরে উদ্বিগ্ন পুরপ্রশাসন সহ শহরবাসী। তুলনামূলক ভাবে সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত কম টাকি পুরসভা এলাকার। এখানকার ১৬টি ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ জন। দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বাদুড়িয়া পুর এলাকার ১৭টি ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ জন। বসিরহাট শহরে তিনটি পুরএলাকার থেকে কিন্তু মহকুমার ১০টি ব্লক, অর্থাৎ গ্রামীণ এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা খানিকটা হলেও কম। যদিও এখানে পুর এলাকার তুলনায় সব মিলিয়ে জনসংখ্যা অনেকটাই বেশি। স্বাস্থ্য দফতর মনে করছে, এর অন্যতম কারণ, শহর এলাকায় ঘন ঘন বাড়ি। মাস্ক পরা বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রবণতাও শহর অঞ্চলে কম চোখে পড়ছে বলে অভিযোগ। লকডাউনের শুরুর দিকে শহরবাসীর মধ্যে তা মেনে চলার প্রবণতা কম ছিল বলেও মনে করছেন স্বাস্থ্য দফতরের কিছু কর্তা। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের দাবি, শহরের মানুষের থেকে গ্রামের মানুষের শারীরিক সক্ষমতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বেশি। সে কারণেও গ্রামবাসীদের থেকে শহরবাসীদের মধ্যে সংক্রমণের হার বেশি হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)