—প্রতীকী ছবি।
হাসনাবাদ ব্লক জুড়ে করোনা পজ়িটিভ কেসের হার ক্রমশ কমছে। উৎসবের মরসুমের পর েসংক্রমণের হার এই ব্লকে বাড়েনি বলেই ব্লক প্রশাসন ও ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। এখন এই ব্লকে অ্যাক্টিভ করোনা কেস মাত্র ১৫। যা গত মাসে এই সময়ে ৩০-৪০ এর কাছাকাছি থাকত।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, হাসনাবাদ ব্লকের আমলানি, বরুণহাট রামেশ্বরপুর ও হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে অনেক করোনা পজ়িটিভ কেস সামনে আসছিল। তবে নভেম্বর মাসে এসে সংক্রমণের হার অর্ধেক হয়ে গিয়েছে ব্লক জুড়ে। যেমন, অক্টোবর মাসে শুধু আমলানি পঞ্চায়েত এলাকায় ৩০ জন করোনা আক্রান্ত হন। তবে নভেম্বর মাসে এখনও পর্যন্ত এই পঞ্চায়েত এলাকা থেকে মাত্র ৬টি পজ়িটিভ কেস পাওয়া গিয়েছে। বরুণহাট রামেশ্বরপুর পঞ্চায়েত এলাকায় অক্টোবর মাসে ৩২ জন করোনা আক্রান্ত হন। নভেম্বর মাসে এখনও পর্যন্ত ১১ জন করোনা আক্রান্ত পাওয়া গিয়েছে।
এই ব্লকে করোনা পরীক্ষা যদিও আগের মতোই আছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। এখন প্রতিদিন গড়ে হাসনাবাদে ১০০টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়। এ ছাড়া, ২৫টি আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে টেস্ট হয়। আগে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ১০-১২ শতাংশ পজ়িটিভ কেস পাওয়া যেত। এখন সমপরিমাণ পরীক্ষা করিয়ে ৪ শতাংশ মতো পজ়িটিভ পাওয়া যাচ্ছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। এ ছাড়া, আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে আগে ২০ শতাংশ পজ়িটিভ কেস পাওয়া যেত। এখন সমপরিমাণ পরীক্ষা করিয়ে ৫-৬ শতাংশ পজ়িটিভ পাওয়া যাচ্ছে। এর কারণ সম্পর্কে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সাহিন হাসান বলেন, ‘‘ব্লক জুড়ে কেউ আক্রান্ত হলেই তাঁদের বাড়িতে দ্রুত আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীরা পৌঁছে যান। আক্রান্তের বাড়িতে প্রয়োজনীয় আলাদা ঘর না থাকলে তাঁকে হাসনাবাদ ব্লকের সেফ হোমে নিয়ে আসা হয়। প্রতিনিয়ত সেফ হোমে থাকা এবং বাড়িতে থাকা রোগীদের দিকে নজর রাখা হয়। ফলে সংক্রমণ ছড়ানো অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। সেই সঙ্গে ২টো অ্যাম্বুল্যান্স সব সময়ের জন্য আমাদের হাতে আছে। ফলে প্রয়োজন হলেই সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকেও প্রয়োজনীয় সাহায্য পাওয়া গিয়েছে।” এ বিষয়ে হাসনাবাদের যুগ্ম বিডিও শুভশ্রী দাস বলেন, ‘‘আমাদের ব্লকের প্রায় ১০০ জন করোনা আক্রান্তকে ব্লকের সেফ হোমে রেখে চিকিৎসা করা হয়েছে। এ ছাড়া, ব্লক জুড়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা, গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় থাকা গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের মাধ্যমেও গ্রামের মানুষদের স্বাস্থ্যের উপরে নজর রাখা হচ্ছে। কারও উপসর্গ থাকলেই সঙ্গে সঙ্গে করোনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হচ্ছে। অর্থাৎ আমরা করোনা পরীক্ষা করানো, আক্রান্তদের পৃথক রাখা ও সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থার উপরে সকলে মিলে জোর দিয়েছি। তার ফলে সংক্রমণ অনেকটা কমে গিয়েছে বলে এখন দেখা যাচ্ছে।” শুভশ্রী আরও জানান, মানুষকে সচেতন করতে ব্লক জুড়ে সর্বত্র প্রচারের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। এই ব্লকে এখনও পর্যন্ত ৮ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।