প্রতীকী ছবি।
বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হওয়ায়, বিয়েবাড়িতে আসা প্রত্যেকের লালারস সংগ্রহ হয়। তাতে ৩০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস মিলল। নামখানা ব্লকের উত্তর চন্দনপিঁড়ি গ্রামের ঘটনা। আপাতত আক্রান্তদের ঠাঁই হয়েছে কাকদ্বীপ সেফ হোমে।
স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১১ অগস্ট নামখানা ব্লকের উত্তর চন্দনপিঁড়ি গ্রামের এক তরুণীর বিয়ে হয়। পাত্র ওই ব্লকেরই ঈশ্বরীপুর গ্রামের বাসিন্দা। সন্ধ্যায় বরযাত্রী-সহ মোট পক্ষ ৯৫ জন বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পরের দিন ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া নারায়ণপুর গ্রামের এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লালারস পরীক্ষার পর তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। এরপরেই বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া বাকি সকলের লালারস সংগ্রহ করা হয় নামখানা দ্বারিকনগর গ্রামীণ হাসপাতালে। পরীক্ষার জন্য তা পাঠানো হয় ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে। রিপোর্ট এলে দেখা যায়, তাঁদের মধ্যে ৩০ জনই করোনা আক্রান্ত। শনি ও রবিবার সকলের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের তুলে এনে সেফ হোমে পাঠায় প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তের মধ্যে নববধূর বাবা-মা ও আত্মীয় পরিজন রয়েছেন। নববধূ ও তাঁর স্বামীরও লালারস পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা আরও প্রায় ৬০ জনের লালারস সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে। স্বাস্থ্য দফতরের একাংশের অভিযোগ, কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে এই মুহূর্তে ৪০ জনের বেশি অংশ নেওয়ার নিয়ম নেই। কিন্ত ওই বিয়ে বাড়িতে বিধিনিষেধ না মেনে এত মানুষ আসায় এই ঘটনা ঘটল। এলাকার বিজেপি নেতা অভিজিৎ প্রধানের অভিযোগ, “প্রশাসনের গাফিলতিতেই এত মানুষ এক সঙ্গে আক্রান্ত হলেন।’’ পুলিশের চোখে এড়িয়ে কী ভাবে এই সময়ে এত মানুষ জড়ো হলেন?” এ ব্যপারে নামখানার বিডিওর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তিনি ফোন ধরেননি। পুলিশ জানিয়েছে, কী ভাবে ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।