মতুয়া মেলার আয়োজন নিয়ে বিবাদ

সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের তরফে এ বছর ওই মেলা আয়োজন করার অনুমতি পেয়েছে ‘সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘ।’ যার সঙ্ঘাধিপতি বনগাঁর সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গাইঘাটা শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:২৫
Share:

মতুয়া মেলা। ফাইল চিত্র

গাইঘাটার ঠাকুরনগরে মতুয়া ধর্ম মেলার আয়োজন করা নিয়ে ঠাকুর পরিবারের পারিবারিক বিবাদ প্রকাশ্যে এল।

Advertisement

পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার মেলা শুরু হওয়ার কথা ১৩ মার্চ থেকে। ঠাকুরবাড়ির কামনা সাগরে পুণ্যস্নান ১৫ মার্চ। ওই স্নান উপলক্ষে দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন। গোটা ঠাকুরনগর জুড়ে বসে যায় মেলা।

সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের তরফে এ বছর ওই মেলা আয়োজন করার অনুমতি পেয়েছে ‘সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘ।’ যার সঙ্ঘাধিপতি বনগাঁর সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর।

Advertisement

কিন্তু এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর, যিনি ‘সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের মহাসঙ্ঘাধিপতি।’ এখানে অতীতে ‘সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘ’ নামে একটিই সংগঠন ছিল। বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের মৃত্যুর পরে একই ‌নামে দু’টি সংগঠন তৈরি হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মেলা আয়োজনের জন্য মমতা ঠাকুরের ‘সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের’ প্রতিনিধিরা মেলায় দোকানপাট বসানোর জন্য দড়ি ফেলে মাপজোক শুরু করেন। অভিযোগ, মঞ্জুলকৃষ্ণ লোকজন নিয়ে গিয়ে বাধা দেন। উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশ আসে। আসেন বিডিও।

মঞ্জুলবাবুর অভিযোগ, তাঁরাও মেলা আয়োজনের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু মমতাবালা নিজের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে, প্রশাসন-পুলিশকে ব্যবহার করে অন্যায় ভাবে মেলা আয়োজনের অনুমতি সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের সঙ্গে এ নিয়ে কোনও আলোচনা করা হয়নি বলেও অভিযোগ মঞ্জুলের। প্রয়োজনে তাঁরা আদালতে দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন।

মমতাবালার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর পক্ষে সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সহ সভাপতি অভিজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘‘মেলা আয়োজনের অনুমতি চেয়ে আমরা সরকারি নিয়ম মেনে নথিপত্র জমা দিয়েছিলাম। স্বাভাবিক ভাবে আমরাই অনুমতি পেয়েছি। মঞ্জুল ঠাকুরেরা কোনও নথিপত্র জমা দিতে পারেননি। ফলে অনুমতি পাননি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement