সকালে চা বা কফির বদলে কোন কোন পানীয়ে চুমুক দিতে পারেন? ছবি: ফ্রিপিক।
রোজ সকালে গরম গরম দুধ চা খাওয়াই পছন্দ। এ দিকে দুধ দিয়ে চা বা কফি খেলেই অম্বল হয়। বদলে যে লিকার চা খাবেন, তা-ও ভাল লাগে না সব সময়ে। এখন সকালে ঠান্ডার আমেজ রয়েছে। এই সময়ে ঘন দুধের চা বা কফি খেতেই মন চায়। কিন্তু খালি পেটে দুধ চা খেলে কেবল অম্বলের সমস্যাই হবে না, পেপটিক আলসারের আশঙ্কাও বাড়বে। পেট ফেঁপে সারাদিন অস্বস্তি হতে পারে। তাই পরিবর্তে এমন কিছু পানীয় বেছে নিন যা খেতেও ভাল লাগবে এবং স্বাস্থ্যকরও। সারাদিন শরীর তরতাজা রাখবে এবং কাজকর্ম করার শক্তিও জোগাবে।
চা বা কফির বদলে কোন কোন পানীয়ে চুমুক দেবেন?
প্রোবায়োটিক স্মুদি
এক কাপ দই, আধ কাপের মতো ওট্স, একটি গোটা আপেল ও একটি কলা মিক্সারে ভাল করে পিষে নিন। গ্লাসে ঢেলে উপর থেকে বিটনুন ও অল্প মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। এই স্মুদিতে প্রোটিন ও ফাইবার থাকায় অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি রাখবে। তা ছাড়া হজমের সমস্যাও হবে না। সকাল সকাল ভিটামিন ও নানা রকম খনিজ উপাদানও ঢুকবে শরীরে।
চা বা কফির বদলে বানিয়ে নিয়ে পুষ্টিকর স্মুদি। ছবি: ফ্রিপিক।
পালং শাকের স্মুদি
শীতকাল আসছে। এই সময়ে বাজারে টাটকা পালং শাক পাওয়া যাবে। পালং শাকে ভিটামিন এ, সি এবং কে ভরপুর মাত্রায় থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। দৃষ্টিশক্তি ভাল করতেও পালং শাক উপকারী। এই শাক আয়রনে পরিপূর্ণ। কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত এই শাক হজমে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণেও বেশ উপকারী। একটি মিক্সারে পালং শাক, অর্ধেকটা কলা, গ্রিক ইওগার্ট, কয়েকটি কাঠবাদাম আর সামান্য মধু দিয়ে ভাল করে পিষে নিন। সকাল সকাল এই স্মুদি এক গ্লাস খেলে সারাদিন শরীর তরতাজা থাকবে। পেটও ভর্তি থাকবে অনেকটা সময়।
হলুদের লাতে
লাতে আসলে এমন এক ধরনের কফি, যাতে অন্যান্য কফির থেকে দুধ আর ক্রিমের পরিমাণ বেশি। স্বাদেও কিছু বেশি মিষ্টি। কিন্তু অম্বলের সমস্যা থাকলে সকাল বেলা দুধ দিয়ে কফি খাওয়া মানেই শরীরের বারোটা বেজে যাবে। তাই পরিবর্তে খেতে পারেন হলুদের লাতে। এক গ্লাস দুধে এক চিমটে হলুদ ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে মন্দ লাগবে না। উপরে কিছু শুকনো ফলও ছড়িয়ে দিতে পারেন।
পাকা পেঁপের স্মুদি
অর্ধেকটা পাকা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এ বার মিক্সারে ভাল করে পিষে নিয়ে তার সঙ্গে এক কাপ দই ও এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। খুব মিহি করে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এই স্মুদিও পেটের জন্য খুবই ভাল। নিয়মিত খেলে হজমশক্তি বাড়বে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হবে।
শশার স্মুদি
একটি গোটা শশা, অর্ধেক আপেল, কয়েকটি পুদিনাপাতা ও পরিমাণ মতো জল দিয়ে একসঙ্গে মিক্সিতে পিষে নিন। গ্লাসে ঢেলে লেবুর রস মিশিয়ে ও বিটনুন ছড়িয়ে খেতে নিন। এই স্মুদি বানিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ ফেলে রাখবেন না। বানানোর সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নিতে হবে। নিয়মিত খেতে পারলে হজমশক্তি বাড়বে। পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর হবে।