পানিহাটি পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
পুরমন্ত্রীর নির্দেশে প্রায় ছ’মাস পরে হল বোর্ড মিটিং। কিন্তু পানিহাটি পুরসভার সেই বৈঠককে ঘিরেও বিতর্ক অব্যাহত থাকল। ফের উঠল পুরপ্রধান বদলের দাবি। আবার পুরসভার বৈঠকে স্থানীয় সাংসদ ও বিধায়ক কী ভাবে উপস্থিত থাকলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিরোধীরা।নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বৈঠকে সাংসদকে কী ভাবে সভাপতি করা হল, তা নিয়ে পরে উষ্মা প্রকাশ করলেন তৃণমূলেরই পুরপ্রধান।
অচলাবস্থা কাটাতে গত ১৫ জুন পানিহাটি পুরসভায় এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে যান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই সময়ে তিনি জানিয়েছিলেন, পুরপ্রধান বদলের বিষয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু এ দিনের বৈঠকের শুরুতেই তিন-চার জন পুরপ্রতিনিধি পুরপ্রধান মলয় রায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেন। যদিও তা করতে গেলে দলের অনুমতি নিয়ে মহকুমাশাসকের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানিয়ে দেন সাংসদ সৌগত রায়।
বৈঠকের বিষয়সূচি পুরপ্রধান স্থির করে নিয়ে এলেও তা নিয়ে তেমন ভাবে আলোচনা হয়নি বলেই খবর। পরে মলয় বলেন, ‘‘আলোচ্য বিষয়সূচির থেকেও বেশি গুরুত্ব পেল আমাকে বদলের দাবি। পুরমন্ত্রীকে বিষয়টি জানাব।’’ পানিহাটির নাগরিক পরিষেবার বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব কেএমডিএ-কে দিয়েছেন পুরমন্ত্রী। তার অগ্রগতি সম্পর্কেচেয়ারম্যান পরিষদ সদস্যদের রিপোর্ট জমা করার কথাও বৈঠকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, রামচন্দ্রপুর ভাগাড় নিয়ে ইতিমধ্যে গ্রিন বেঞ্চে মামলা করেছেন ভাগাড় বিরোধী আন্দোলনকারীরা। সেটি নিয়েও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। এ দিন সকালেচেয়ারম্যান পারিষদদেরও একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ জনের মধ্যে চার জন অনুপস্থিত থাকায় বৈঠক হয়নি।