ছবি: প্রতিনিধিত্বমূলক।
প্রচারে বেরিয়ে মঙ্গলবার গুরুতর জখম হয়েছিলেন এক কংগ্রেস নেতা। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে মৃত্যু হল তাঁর। অভিযোগের আঙুল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির গাজিপুর অঞ্চলে ঘটেছিল হামলা। বৃহস্পতিবার সকালে পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব যদিও এই নিয়ে মুখ খোলেননি।
মৃতের নাম আলফাজ হালদার। তাঁর স্ত্রী কাশিরা বিবি দাবি করেছেন, আলফাজ গাজীপুর অঞ্চলের অন্তর্গত দৌলতপুর বুথের কংগ্রেস নেতা। গত সোমবার রাতে কুলপির দৌলতপুরে নির্দল প্রার্থী গৌতম হালদারের প্রচারে বেরিয়েছিলেন আলফাজ। গৌতম গত পঞ্চায়েত নির্বাচন তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন। এ বার টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন। এই গৌতমের হয় প্রচারে নেমেছিলেন আলফাজ। সোমবার রাতে সময় চুনফুলির মোড়ে তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁদের। ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েক জন কর্মী আহত হন বলে অভিযোগ। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নির্দল সমর্থক আলফাজের অবস্থার আশঙ্কাজনক ছিল। মঙ্গলবার তাঁকে কলকাতায় নিয়ে এসে একবালপুরের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় লাইফ সাপোর্ট দিয়ে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই হাসপাতাল ভর্তি নেয়নি আলফাজকে। বুধবার রাতে তাঁকে পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত আলফাজের স্ত্রী কাশিরা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রামে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন নুরউদ্দিন হালদার। তখন নুরউদ্দিনকে সমর্থন করেছিলেন আলফাজ। ভোটে জেতার পর নুরউদ্দিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এবারে দৌলতপুর গ্রামের ৮৯ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নুরউদ্দিন। অন্য দিকে একই বুথে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন গৌতম। তাঁর সমর্থনে প্রচার করছিলেন আলফাজ। নুরউদ্দিনের হয়ে প্রচার না করায় আলফাজকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ কাশিরার। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এই নিয়ে মুখ খোলেনি। বার বার যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি।