প্রতীকী ছবি।
ইটভাটার জমির লিজ়ের মালিকানা ঘিরে শাসনে বিতর্ক ছড়াল। অভিযোগ, লিজ়ের মেয়াদ ফুরনোর আগে লিজ়গ্রহীতাকে মারধর করে এলাকাছাড়া করে দেওয়া হয়েছে। মারধরের হাত থেকে রেহাই পাননি তাঁর স্ত্রীও। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি-সহ চার জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন লিজ়গ্রহীতা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শাসনের বোয়ালঘাটায় ইটভাটা রয়েছে আবু বক্কর নামে এক ব্যক্তির। এক মহিলার থেকে তিনি সেটি লিজ় নিয়েছিলেন। আবুর অভিযোগ, আগামী মাসে লিজ়ের চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই নতুন চুক্তি করে ফেলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁর থেকে ইটভাটা কেড়ে নিতে গত দু’মাস ধরে চেষ্টা চলছিল।
শাসনের অঞ্চল সভাপতি সইদুল ইসলাম, অঞ্চলের সহ-সভাপতি মুকুন্দ মণ্ডল, অঞ্চল কমিটির সদস্য সুকুর আলি এবং সইদুলের আত্মীয় কুদ্দুস আলির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন আবু। তিনি বলেন, ‘‘লিজ়ের মেয়াদ
ফুরনোর চার মাস আগেই আমাকে ইটভাটা থেকে বার করে দিতে চাইছিলেন ওঁরা। গত শনিবার রাতে ওঁরা লোকজন নিয়ে আমার
বাড়িতে চড়াও হন। আমি কাগজে সই করতে রাজি না হওয়ায় হামলা চালানো হয়।’’ আবুর আরও অভিযোগ, গত সোমবার তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
যদিও অঞ্চল সভাপতি সইদুলের পাল্টা দাবি, আবু মিথ্যা অভিযোগ করছেন। সইদুল বলেন,
‘‘ইটভাটার মালকিনের উপরে প্রভাব খাটিয়ে ফের সেটি লিজ় নিতে চাইছিলেন আবু। আর ওঁর স্ত্রীকে মারধর করা হয়নি। উনি মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন।’’ একই দাবি বারাসত ২ নম্বর পঞ্চায়েতের সহ-সভাপতি ইফতিকারউদ্দিনের। তিনি বলেন, ‘‘আবু আমাদের দলের লোক। আমাদের ধারণা, জোর করে লিজ় বজায় রাখতেই উনি এই নাটক করছেন।’’
এলাকা সূত্রের খবর, আবু ফলতি বেলিয়াঘাটা অঞ্চলের নেতৃত্বের শিবিরের লোক। আর ইটভাটা রয়েছে শাসন অঞ্চলে। দুই অঞ্চলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে। স্থানীয় হাড়োয়া বিধানসভার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘ইটভাটার ঘটনাটি জানি না। তবে ওই দুই অঞ্চলের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলা হবে।’’
অন্য দিকে, পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বারাসত পুলিশ জেলার সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কী হয়েছে, ঠিক জানি না। অভিযোগ যে কেউ করতে পারেন। তখন তা তদন্ত করে দেখা হবে।’’