নামখানা স্টেশন।
কেন্দ্রের বরাদ্দ পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকাও নয়ছয়ের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকে।
এই ব্লকের পাঁচটি পঞ্চায়েত এলাকায় ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১৫ লক্ষ টাকার বেশি নয়ছয়ের অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্লকের নামখানা পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা স্নেহাশিস গিরি। সেই প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন নামখানার বিডিও। এই ঘটনায় শাসকদলের পাশাপাশি বিডিওর ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিজেপি। দুর্নীতির কথা মানতে নারাজ ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দের ৬০ শতাংশ নির্ধারিত ফান্ড (টায়েড) থেকে পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থা, শৌচালয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো কাজ হয়। বাকি অর্থে (আনটায়েড ফান্ড) রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ছোট সেতু তৈরি, মেরামত হয়। রাস্তার আলো লাগানো, শ্মশান-কবরস্থানের পাঁচিল, ওয়াই-ফাই পরিষেবা ইত্যাদিও হতে পারে। এই কাজের জন্য টেন্ডার হওয়ার পরে সরাসরি ঠিকাদারের অ্যাকাউন্টে বরাদ্দ অর্থ চলে যাওয়ার কথা।
স্নেহাশিস গিরির অভিযোগ, এ ক্ষেত্রে নামখানা, বুধাখালি, হরিপুর, শিবরামপুর ও নারায়ণপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা সঠিক ভাবে ব্যবহার হয়নি। লেনদেনের ক্ষেত্রে নানা বেনিয়ম হয়েছে। পাঁচটি পঞ্চায়েত মিলিয়ে ১৬৫টি লেনদেন উল্লেখ করে বেনিয়ম হয়েছে, দাবি স্নেহাশিসের। সেই তথ্য সহ জানুয়ারি মাসে নামখানার বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিডিও অমিত সাহু।
দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে নামখানা পঞ্চায়েতের প্রধান গুরুপদ মালি বলেন, ‘‘আমরা পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ২০২২-২০২৩ অর্থ বর্ষের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা এখনও পাইনি। এ ছাড়া, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বর্ষেও কোনও টাকা ঢোকেনি।’’
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি।