বাম জমানায় চাকরি হত চিরকুটে বলে অভিযোগ। — ফাইল চিত্র।
বাম জমানায় চিরকূটে চাকরি হয়েছিল অশোকনগরেও— এমনই অভিযোগ তুললেন অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় শহিদ সদনে দলের এক সভায় এসে নারায়ণ বলেন, ‘‘২০১১ সালের আগে বাম জমানায় মেধার ভিত্তিতে রাজ্যের সরকারি দফতরগুলিতে চাকরি হয়নি। এখানেও হয়নি। হয়েছে সব চিরকুটে। একনিষ্ঠ কমরেড, সর্বক্ষণের কর্মীদের (হোল টাইমার) চাকরি হয়েছে। সিপিএম নেতার বাড়ির রাঁধুনি, বিউটিশিয়ান, সিপিএম নেতার স্ত্রীর চুল বেঁধে দেওয়া মহিলা— সকলে আইসিডিএসে চাকরি পেয়েছেন।’’ বিধায়কের দাবি, ‘‘বাম আমলে স্কুলে পরিচালন সমিতিতে সভাপতি ও সম্পাদক পদে রাজনৈতিক নিয়োগ হত। চাকরির নিয়োগপত্রে সম্পাদক সই করতেন। এখন স্কুলের সম্পাদক স্কুলের প্রধান শিক্ষক। বাম আমলে কেবল শিক্ষায় নয়, রাজ্য সরকারের যতগুলি দফতর আছে, সেখানে বেশিরভাগ নিয়োগ হয়েছে চিরকুটে।’’
বিধায়কের অভিযোগের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিএম নেতৃত্ব। অশোকনগরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক তথা দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সত্যসেবী কর বলেন, ‘‘এ সব কথা বলে চিঁড়ে ভিজবে না। মানুষ সব বুঝে ফেলেছেন। এখানে আমাদের সময়ে নিয়োগ-দুর্নীতি হয়ে থাকলে গত বারো বছর ধরে তাঁদের সরকার কী করছিল?’’ অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভায় তৃণমূলের বোর্ড টাকার বিনিময়ে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি পদে চাকরি দিয়েছে। নিয়োগ-দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থাই অশোকনগর পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার যুক্ত ছিল। ওই সব নিয়োগের তদন্ত দাবি করেন সত্যসেবী।
অভিযোগ অস্বীকার করে পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার বলেন, ‘‘সিপিএম মিথ্যা বলছে। সিপিএম যত রকম ভাবে তদন্ত করতে চায় করুক। এক টাকা কেউ দিয়েছেন প্রমাণ করতে পারলে আমি পুরসভা ছেড়ে চলে যাব।’’