প্রতীকী ছবি।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তাঁরই ‘প্রেমিকে’র বিরুদ্ধে। অভিযোগ, একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের ছবি তুলে তা নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন ছাত্রীর ‘প্রেমিক’। এই ঘটনায় অপমানিত হয়েই আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন ওই ছাত্রী। শুক্রবার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ছাত্রীর পরিবারের এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে মিনাখাঁ থানার পুলিশ। তবে অভিযুক্ত যুবক পলাতক।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ছাত্রীর উওর ২৪ পরগনার বসিরহাটের মিনাখাঁ থানার মঠবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। বসিরহাট কলেজের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর সঙ্গে হাসনাবাদ থানার দক্ষিণ ভেবিয়ার বছর ছাব্বিশের যুবক হাবিবুল্লাহ্ গাজির পরিচয় হয়েছিল বছরখানেক আগে। তার পর থেকে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে দাবি। ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকি গেস্ট হাউসে নিয়ে গিয়ে একাধিক বার তাঁর মেয়েরে ধর্ষণ করেছেন গাজি। পাশাপাশি, ছাত্রীর একাধিক অশ্লীল ভিডিয়ো তৈরি করে তা ভাইরাল করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে গাজির বিরুদ্ধে।
পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে গাজিকে বিয়ের কথা বলেছে ছাত্রীটি। তবে তাতে গুরুত্ব দেননি গাজি। ইতিমধ্যে একাধিক বার তাঁকে ধর্ষণ করেন তিনি। পাশাপাশি, ওই অশ্লীল ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরে নানা মহলে অপমানিত হতে হয়েছিল ওই ছাত্রীকে। অপমানের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে অবশেষে গত সোমবার গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। এর পর পরিবারের লোকজন তাঁকে প্রথমে মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতাল এবং পরে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যান। শুক্রবার সেখানেই মারা যান ওই ছাত্রী। এর পর মিনাখাঁ থানায় গাজির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ছাত্রীর পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে মিনাখাঁ থানার পুলিশ। পাশাপাশি, অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে বিভিন্ন থানায় বার্তাও পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।