এই ঘটনায় ট্রলারের মাঝি সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
বাংলাদেশের জাহাজ থেকে কয়লা চুরি করে নদী পথে সুন্দরবনে পাচার করা হচ্ছিল। যথা সময়ে খবর পেয়ে সেই পাচার রুখে দিল পুলিশ। শুক্রবার বিশেষ অভিযান চালিয়ে কুলতলি থানার পুলিশ একটি ট্রলার আটক করেছে।
শুক্রবার চুপড়িঝাড়া পঞ্চায়েতের বানীরঢাল খেয়াঘাটের কাছে ঠাকুরান নদীতে আটক করা হয় ট্রলারটিকে। ওই ট্রলারে প্রায় ১৫ টন কয়লা পাচার করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ট্রলারের মাঝি সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা প্রত্যেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা৷
কী ভাবে কয়লা পাচার হচ্ছিল, প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া থেকে জাহাজে কয়লা বোঝাই করে তা বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথে রাতের অন্ধকারে পাথরপ্রতিমার এল প্লটের কাছে জাহাজ থেকে নামানো হয় সেই কয়লা। তারপর ট্রলারে তুলে তা সুন্দরবনের কুলতলি, মৈপীঠের দিকে নিয়ে আসার পথেই ধরে ফেলে পুলিশ।
গোপন সূত্রে কয়লা পাচারের খবর জানতে পেরে কুলতলি থানার পুলিশ তড়িঘড়ি বিশাল বাহিনী নিয়ে পৌঁছায় বানীরঢাল খেয়াঘাটের কাছে। সেখানে গিয়ে ট্রলারটিকে ঘিরে ফেলে তারা। তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ১৫ টন কয়লা। যার কোন বৈধ কাগজপত্র ছিল না বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আপাতত পুলিশ তদন্ত করে দেখছে ওই কয়লা কোথায় পাচার করা হচ্ছিল। কুলতলি, মৈপীঠ উপকূল থানা এলাকায় একাধিক ইটভাটা রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কয়লাগুলি সেই ভাটায় বিক্রির ছক ছিল। এর পিছনে কে বা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শনিবার এই ঘটনায় ধৃত ৭ জনকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর) মাকবুল হাসান বলেন, ‘‘কেস শুরু করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করার পর বাকি তদন্ত চলবে।’’