প্রতিবাদ: আইনজীবীদের মিছিল। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
মহকুমাশাসকের দফতরে আইনজীবী ও সরকারি কর্মীদের মারামারি, ভাঙচুরের ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকল এগজ়িকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত। আদালত কবে খুলবে, সে বিষয়ে মহকুমা প্রশাসনের কর্তারা স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি। মহকুমাশাসক কাকলি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আদালতের ভিতর ভাঙচুর করা হয়েছে। নথিপত্র কী কী খোওয়া গিয়েছে, তা পুলিশ খতিয়ে দেখবে। ফলে কোর্ট এখন বন্ধ রাখা হয়েছে। জেলাশাসককে গোটা ঘটনার কথা জানানো হয়েছে।’’
আইনজীবীদের সই জাল করে এফিডেভিট করা হচ্ছে এগজ়িকিউটিভ মাজিস্ট্রেটের কোর্টে— এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে বুধবার ধুন্ধুমার বাধে মহকুমা শাসকের অফিসে। ভাঙচুর, মারপিটের ঘটনায় কয়েক জন সরকারি কর্মী ও আইনজীবী আঘাত পান। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
ঘটনার জেরে এ দিন নিজেদের নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন মহকুমাশাসকের দফতরের কর্মীরা। মহকুমাশাসকের কাছে তাঁরা এ ব্যাপারে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন সরব হন তাঁরা। আন্দোলনের জেরে দফতরের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। মহকুমাশাসক অবশ্য বলেন, ‘‘দফতরের জরুরি পরিষেবা সব স্বাভাবিক ছিল। কর্মীরা আমার কাছে বুধবারের হামলার ঘটনার প্রতিবাদ করে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাঁরা নিরাপত্তার দাবি করেছেন। তাঁদের অভিযোগ পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
এ দিকে, সরকারি কর্মীদের কাজ বন্ধ রাখার প্রতিবাদে মিছিল করেন আইনজীবীরা। সমীর বলেন, ‘‘আগাম কোনও নোটিস ছাড়া সরকারি কর্মীরা কাজ বন্ধ করায় সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। এটা করা যায় না। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছি।’’
গোলমাল প্রসঙ্গে আইনজীবীদের দাবি, পাঁচ মাস ধরে তাঁদের সই জাল করে এফিডেভিট করা হচ্ছে। এর পিছনে একটি দালাল চক্র সক্রিয়। মহকুমাশাসক জানান, আইনজীবীরা তাঁদের অভিযোগ লিখিত ভাবে কখনও জানাননি। তিনি সপ্তাহে দু’দিন কয়েক ঘণ্টা আদালতে বসেন। আইনজীবীরা সেখানে তাঁকে জানাতে পারতেন। বা দফতরে এসেও অভিযোগ করতে পারতেন। বনগাঁ মহকুমা আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, ‘‘মহকুমাশাসককে মৌখিক ভাবে বলা হয়েছিল যে কিছু সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা কথা বলতে চাই।’’