Tab

ট্যাবের টাকা নিয়ে প্রতারণা বনগাঁতেও, ইসলামপুর থেকে ধৃত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ শহরের দু’টি স্কুলে ট্যাব প্রতারণা চক্রের ঘটনা ঘটেছিল দিন কয়েক আগে। শক্তিগড় হাই স্কুলের ৫ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:১২
Share:

উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। —প্রতীকী চিত্র।

রাজ্য জুড়ে ট্যাবের টাকা প্রতারণার ঘটনায় এ বার জুড়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর নাম। পুলিশ ওই ঘটনায় উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ শহরের দু’টি স্কুলে ট্যাব প্রতারণা চক্রের ঘটনা ঘটেছিল দিন কয়েক আগে। শক্তিগড় হাই স্কুলের ৫ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছিল। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৬৩ মধ্যে পড়ুয়ার মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে ৫ জনের ক্ষেত্রে। কবি কেশবলাল বিদ্যাপীঠ স্কুলের ৫৪ জন পড়ুয়ার মধ্যে ২১ জনের অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢোকেনি। অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। দু’টি স্কুলের পক্ষ থেকেই বনগাঁ থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল ৯ নভেম্বর।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, পড়ুয়াদের টাকা যে সব অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে, সেই সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি একই দিনে খোলা হয়েছিল। ট্যাবের টাকা ঢোকার পরে একই দিনে টাকা তুলে নেওয়া হয়। পুলিশ জানতে পারে, ছাত্রছাত্রীদের ট্যাবের টাকা হাতানোর চক্রটি বিহারের কিসানগঞ্জ এবং উত্তর দিনাজপুরের।

Advertisement

বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করা ছাত্রছাত্রীরা ট্যাবের টাকা না পেয়ে সমস্যা পড়েছে। তারা জানিয়েছে, অনলাইনে ক্লাস করতে সমস্যা হচ্ছে। এ দিকে, নিজেদের সামর্থ্য নেই ট্যাব কেনার। দ্রুত যাতে সমাধান হয় এবং তারা যাতে ট্যাবের টাকা পায়— সেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। কবি কেশবলাল বিদ্যাপীঠ স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাবের টাকা ওই ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতেও শুরু করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্তে নেমে বনগাঁ থানার পুলিশের একটি দল হানা দিয়েছিল কিসানগঞ্জ এবং ইসলামপুরে। ইসলামপুর থেকে পুলিশ মহম্মদ বাহাউদ্দিন নামে বছর উনিশের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। খোচাবাড়ি এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে বনগাঁ থানার দলটি এলাকায় ফিরেছে। এ দিনই বাহাউদ্দিনকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানতে পেরেছে, বাহাউদ্দিন চক্রের মাথা নয়। চক্রের সদস্যেরা বাহাউদ্দিনের মতো অনেকের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে তাদের অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়েছিল। আর সেই সব ভাড়া করা অ্যাকাউন্টে ট্যাব প্রতারণার টাকা ঢুকেছে। বাহাউদ্দিনকে জেরা করে পুলিশ চক্রের মাথাদের খোঁজে তল্লাশি চালানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement