ন্যাজাট থানার অদূরে বিক্ষোভে শামিল বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত।
তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বসিরহাটের ন্যাজাট থানা ঘেরাও অভিযানে নেমেছে বিজেপি। নেতৃত্বে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সেই কর্মসূচি ঘিরে উত্তাল ন্যাজাট। থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। অভিযোগ, তা অমান্য করে ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গিয়েছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। তাতে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও শুরু হয়। সুকান্তের পাল্টা অভিযোগ, মহিলা পুলিশকর্মীদের এগিয়ে দেওয়া হয়েছে। থানার অদূরেই পথে বসে পড়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এই ন্যাজাট থানা এলাকায় রয়েছে শাহজাহানের বাড়ি, যেখানে গিয়ে গত শুক্রবার হানায় গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আধিকারিকেরা।
গত শুক্রবার থেকে ‘পলাতক’ শাহজাহান। তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সরব হল বিজেপি। বসিরহাটের ন্যাজাট থানা ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছেন সুকান্তেরা। সেই কর্মসূচি ঘিরে বিশৃঙ্খলা। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ আগেভাগেই থানার অদূরে ব্যারিকেড বসিয়ে রেখেছিল। থানা এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। অভিযোগ, সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। মানতে চাননি ১৪৪ ধারাও। তার জেরে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের এক প্রস্ত ধস্তাধস্তি হয় বলেও অভিযোগ।
সুকান্ত এই অভিযোগ মানেননি। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, থানা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ব্যারিকেড রেখে দিয়েছিল পুলিশ, যাতে বিজেপি কর্মীরা কর্মসূচি করতে না পারেন। যেখানে ব্যারিকেড করা হয়েছিল, সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা ছিল না। এর পর পুলিশের বাধা পেয়ে পথেই বসে পড়েন সুকান্তেরা। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, মহিলা পুলিশকর্মীদের এগিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে পুরুষ নেতাদের বিরুদ্ধে ‘মামলা’ করা যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপির মহিলা কর্মীকে খামচে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
পুলিশ এবং বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তিতে রণক্ষেত্র ন্যাজাট এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশবাহিনী। এই নিয়ে পুলিশকে কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘শেখ শাহজাহান কোথায় রয়েছে, পুলিশ জানে। চাইলেই গ্রেফতার করতে পারে। এখন এখানে যত পুলিশ রয়েছে, যে দিন হামলা হয়েছে, পৌঁছতে পারত না?’’