Central Force in Sandeshkhali

সন্দেশখালিতেও পৌঁছে গেল কেন্দ্রীয় বাহিনী, শুরু রুটমার্চ, ভয় কাটাতে কথা সাধারণ মানুষের সঙ্গে

মঙ্গলবার সকালে নাগাদ স্থানীয় রামপুর হাই স্কুলের শিবির থেকে বেরোন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তার পর গোটা এলাকায় রুটমার্চ করেন তাঁরা। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গেও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

সন্দেশখালি শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪ ১২:৩১
Share:

সাতসকালেই সন্দেশখালির রাস্তায় দেখা মিলল কেন্দ্রীয় বাহিনীর। — নিজস্ব চিত্র।

লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। তার মধ্যেই রাজ্যের পথেঘাটে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের টহল দিতে। সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গেল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতেও। মঙ্গলবার সকালে সন্দেশখালির বিভিন্ন গ্রামের রাস্তায় টহল দিতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।

Advertisement

৫ জানুয়ারি থেকে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে নদী ঘেরা প্রত্যন্ত অঞ্চল সন্দেশখালি। শাহজাহান শেখকে খুঁজতে গত ৫ জানুয়ারি সরবেড়িয়া গ্রামে গিয়ে শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে মার খেয়ে ফিরতে হয়েছিল ইডির আধিকারিকদের। তার পর গোটা জানুয়ারি মাস ধরে আপাত শান্তি থাকলেও ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে ক্ষমতাসীন তৃণমূল নেতাদের কয়েক জনের বিরুদ্ধে অত্যাচার, জুলুমবাজি এবং নারী নির্যাতনের অভিযোগে পথে নামেন স্থানীয় মহিলারা। তাঁদের পিছন পিছন আন্দোলন শুরু করেন পুরুষরাও। এই পরিস্থিতিতে শাসক, বিরোধী— উভয় পক্ষেরই কয়েক জন নেতাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। নিখোঁজ হওয়ার ৫৫ দিন পর পুলিশ মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করে শাহজাহানকে। তার আগেই অবশ্য গ্রেফতার করা হয়েছিল শাহজাহানের অনুগামী বলে পরিচিত শিবপ্রসাদ হাজরা, উত্তম সর্দার, অজিত মাইতিদেরও গ্রেফতার করা হয়েছিল। এলাকায় সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার, বিজেপির বিকাশ সিংহ এবং আইএসএফ নেত্রী আয়েশা বিবিদেরও ধরেছিল পুলিশ। যদিও বিরোধী নেতা-নেত্রীরা জামিন পেয়ে যান। তৃণমূল নেতারা এখনও জেলে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের দাবি, সন্দেশখালি ফিরছে পুরনো ছন্দে। যদিও বিরোধীরা সন্দেশখালি নিয়ে উত্তাপ কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বলেই দাবি করছেন। এই পরিস্থিতিতে, লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই সন্দেশখালিতে টহলদারি শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় বাহিনী।

সোমবার থেকেই এলাকায় টহলদারি শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে, সোমবার মূলত জেলিয়াখালি এলাকাতেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রেখেছিল বাহিনী। মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্দেশখালিতেও রুটমার্চ শুরু হয়ে গেল। প্রসঙ্গত, এই সন্দেশখালিই মাসখানেক ধরে শিরোনামে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা নাগাদ রামপুর হাই স্কুলের শিবির থেকে বেরোন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তার পর টহল দিতে দিতে তাঁরা পৌঁছন ঘাটে। নদী পেরিয়ে খুলনা এলাকাতেও রুটমার্চ করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। বাসিন্দাদের মন থেকে ভয় তাড়িয়ে আত্মবিশ্বাস ফেরাতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। তাঁরা গ্রামবাসীদের কাছে কাউকে ভয় না পাওয়ার আবেদন করেন। কোনও সমস্যায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও বলেন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকে খুলনা, সন্দেশখালি, ত্রিমোহিনী এলাকায় রুটমার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement