Tapas Roy

সিদ্ধান্ত বদলে বুধে তাপস রায়কে বিধানসভায় ডেকে পাঠানো হল, সোমে ইস্তফা দেন তৃণমূল বিধায়ক

বিধানসভার সচিবালয়ের তরফে মঙ্গলবার তাপসকে শুনানির জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎই সিদ্ধান্ত বদল হয়। বুধবার তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪ ১১:৩৯
Share:

তাপস রায়। —ফাইল চিত্র।

বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়। বিধানসভার সচিবালয়ের তরফে মঙ্গলবার তাঁকে শুনানির জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎই সিদ্ধান্ত বদল হয়। বুধবার তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

সোমবার তাপস বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দেন। স্পিকার জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার তাপসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। বিধানসভার সচিবালয়ের তরফে জানানো হয়, পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে মঙ্গলবারই তাপসকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার সকালেই সিদ্ধান্ত বদল করে সচিবালয়। জানানো হয়, বুধবার ডাকা হচ্ছে বরাহনগরের বিধায়ককে।

কোনও বিধায়ক পদত্যাগ করার পর তাঁর ইস্তফাপত্রে কোনও ত্রুটি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখে বিধানসভার সচিবালয়। তার পর শুনানির জন্য ডেকে পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট বিধায়ককে। সচিবালয় সূত্রে খবর, এখনও তাপসের ইস্তফাপত্র যাচাই করার প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ হয়নি। তবে ওই সূত্রেই জানা গিয়েছে, এখনও ওই ইস্তফাপত্রে কোনও ত্রুটি পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালেই তাপসকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বুধবার বিধানসভায় আসার জন্য। তাতে সম্মতি জানান বরাহনগরের বিধায়ক।

Advertisement

২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর ইস্তফাপত্র খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যায়, তারিখ দেওয়া নেই। স্পিকার শুভেন্দুকে বিষয়টি সংশোধন করতে বলেন। সংশোধিত ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেন স্পিকার। এই যাচাইপর্ব শেষ হলে তবেই বিধায়ককে ডাকা হয়। তার পর তাঁর বক্তব্য শোনার পর পদত্যাগের গোটা প্রক্রিয়াটি শেষ হয়।

সোমবার দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তাপস। দলও ছাড়েন। সকালেই তাপসের ‘মানভঞ্জন’ করতে তাঁর বৌবাজারের বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁরা বেরিয়ে যাওয়ার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তাপস। জানান, তিনি দলে অবহেলিত, উপেক্ষিত এবং অসম্মানিত। অর্থাৎ, ব্রাত্য, কুণালের ‘দৌত্য’ যে কাজে লাগেনি, তাঁরা যে তাপস-বরফ গলাতে পারেননি, তা স্পষ্ট হয়ে যায়।।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement