কাঠগড়ায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল
Canning Sub Divitional Hospital

‘রেফার’ রোগিণীর প্রসব  হল হাসপাতাল চত্বরেই

পরিবারের মাথায় হাত। টাকা-পয়সা তো নেই। তবু খোঁজ শুরু হয় অ্যাম্বুল্যান্সের।

Advertisement

প্রসেনজিৎ সাহা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:২০
Share:

—ফাইল চিত্র

প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছিলেন তরুণী। কিন্তু হাসপাতাল থেকে লিখে দিয়েছে ‘রেফার’। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন, অস্ত্রোপচার ছাড়া উপায় নেই। আর জটিল এই অস্ত্রোপচার করার মতো পরিকাঠামো নেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। কলকাতার হাসপাতালে যেতে হবে।

Advertisement

পরিবারের মাথায় হাত। টাকা-পয়সা তো নেই। তবু খোঁজ শুরু হয় অ্যাম্বুল্যান্সের। ততক্ষণে ওয়ার্ড থেকে প্রসূতিকে এক রকম বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি বসে হাসপাতাল চত্বরের গাছতলায়। আধ ঘণ্টার মধ্যে, রবিবার রাত ৯টা নাগাদ সেখানেই সন্তান প্রসব হয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন, অন্য রোগীর পরিবারের লোকজন মা ও শিশুকে নিয়ে যান হাসপাতালের ওযার্ডে। তখন অবশ্য ভর্তি নেওয়া হয়েছে তাঁদের। মৌখিক ভাবে পরিবারটি অভিযোগ করেছে হাসপাতাল সুপারের কাছে।

কিন্তু কেন ঘটল এমন ঘটনা, তা নিয়ে স্পষ্ট উত্তর মেলেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। সুপার অপূর্বলাল সরকার বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছে।’’

Advertisement

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিংয়ের পাঙাসখালির বাসিন্দা মনিরা হালদার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। প্রাথমিক পরীক্ষার পরে চিকিৎসকেরা জানান, গর্ভস্থ সন্তানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। পরিবারের দাবি, সোমবার সকালে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে মনিরাকে কার্যত বের করে দেওয়া হয়। মনিরার মা সামিরুন হালদার বলেন, ‘‘ডাক্তারবাবু, নার্সদিদিরা ঠিকমতো না দেখেই মেয়েকে কলকাতায় রেফার করে দিয়েছিলেন। কোনও ভাবেই স্বাভাবিক প্রসব সম্ভব হবে না বলেছিলেন। জটিল অস্ত্রোপচার ছাড়া মেয়ে ও গর্ভস্থ সন্তানকে বাঁচানো যাবে না বলেও জানিয়ে দেন। আমাদের কার্যত হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement