ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।
সাপের কাটা মানুষের চিকিৎসায় নাম রয়েছে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের। কিন্তু সোমবার এভিএস বা অ্যান্টি ভেনাম সিরামের অভাব দেখা দেওয়ায় চিকিৎসা করাতে এসে সমস্যায় পড়েন সর্পদষ্টেরা। পরে অবশ্য ব্লক হাসপাতাল থেকে এভিএস সংগ্রহ করে চিকিৎসা করা হয় তাঁদের। এভিএসের পর্যাপ্ত জোগান নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতাল সুপার পার্থসারথি কয়াল।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার সকালে বিষধর সাপে কাটা চার জন রোগী আসেন। এঁদের মধ্যে একজনকে কালাজ সাপে ছোবাল মারে। তিনি বাসন্তীর ঢুঁড়ির বাসিন্দা। বাকি তিনজনই বারুইপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। তাঁরা চন্দ্রবোড়া সাপের ছোবল খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকেরা জানান, এক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে ৩০টি করে এভিএস দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে এভিএস না থাকায় সকলকেই ১০টি করে দেওয়া হয়। পরে আশপাশের ব্লক হাসপাতালে লোক পাঠিয়ে সেখান থেকে এভিএস সংগ্রহ করে তাঁদের চিকিৎসা করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, বর্ষায় সাপে কাটা রোগীদের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিনই ১৫-২০ জন সাপে কাটা মানুষ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে আসছেন চিকিৎসার জন্য। অন্যান্য সময়ে যেখানে প্রতিমাসে তিন-চার হাজার এভিএস লাগে হাসপাতালে, সেখানে চলতি মাসে অনেক বেশি পরিমাণে তা ব্যবহার হয়েছে। ফলে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে হাসপাতাল সুপার বলেন, “একটা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু তা সমস্যা কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে। পর্যাপ্ত এভিএস হাসপাতালে পাঠানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। দ্রুত সেগুলি এসে যাবে।’’