কেটে রাখা হয়েছে গাছ। নিজস্ব চিত্র
ম্যানগ্রোভ কেটে বিঘের পর বিঘে জমিতে গড়ে উঠছে বসতি। কিছু রাজনৈতিক নেতার মদতেই সবুজ ধ্বংস করে এ ভাবে বেআইনি দখলদারি চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যেই ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক-সহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ক্যানিং ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শৈবাল লাহিড়ি।
কিছু দিন আগেই ঝড়খালিতে বন মহোৎসবে এসে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ধ্বংসের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বন দফতরের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সবুজ ধ্বংসের পিছনে যাদের হাত রয়েছে তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
সেই ঘটনার পরে একমাস কাটতে না কাটতেই ক্যানিংয়ের মাতলা নদীর চরে ম্যানগ্রোভ কাটার ঘটনা সামনে এল। দিঘিরপাড়, মাতলা ও মাতলা চর মৌজায় দিনের পর দিন প্রকৃতি ধ্বংস করে গড়ে উঠছে জনবসতি।
শৈবাল বলেন, “যারা প্রকৃতিকে ধ্বংস করে এ সব করছে, তাদের প্রথম পরিচয় তারা সমাজবিরোধী। কিছু ধান্দাবাজ লোক নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে এ ভাবে ম্যানগ্রোভ কেটে সরকারি জমি দখল করছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’’
মাতলা নদীর চর ক্যানিং মহকুমার উন্নয়নস্থল। চর এলাকার একদিকে স্টেডিয়াম তৈরি হয়েছে, অন্য দিকে মহকুমাশাসকের দফতর। বাস টার্মিনাসও তৈরি হয়েছে এখানে। আগামী দিনে আদালত-সহ আরও বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প নদীর চরে গড়ে ওঠার কথা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকায় এক একটি প্লট বিক্রি হয়েছে নদীর চরে। সরকারি জমি এ ভাবে দখল করে বিক্রি ও ম্যানগ্রোভ ধ্বংসের অভিযোগ ইতিমধ্যেই পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ক্যানিং ১ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক কৃষাণু সেন। তিনি বলেন, “তদন্তের জন্য রেভিনিউ ইন্সপেক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জমা দেব।’’
ক্যানিং ১ বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে-ও ঘটনা তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলাগানাথনও।