জাতীয় সড়কে ধস, মাথায় হাত ব্যবসায়ীর

ডায়মন্ড হারবার শহরের জেটিঘাট মোড় থেকে কপাটহাট পর্যন্ত জাতীয় সড়কের দু’ধারে কয়েকশো ছোট-বড় দোকান। এই দোকানদারেরা রায়দিঘি, মথুরাপুর, কুলপি, জয়নগর, কুলতলি ও কাকদ্বীপ মহকুমার একাংশের বাসিন্দাদের উপরেই মূলত নির্ভরশীল।

Advertisement

দিলীপ নস্কর

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৯ ০২:৪০
Share:

অপেক্ষা: রাস্তার কাজ শেষ হবে কবে, অপেক্ষায় অনেকেই। নিজস্ব চিত্র

ডায়মন্ড হারবার জেটিঘাটের কাছে হুগলি নদীর বাঁধে ধস নামায় দু’সপ্তাহ হল ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। কবে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হবে, সেই অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আগে সারা দিনে যা ব্যবসা হত, তার সিকিভাগও হচ্ছে না বলে জানালেন অনেকেই। পুরো ডায়মন্ড হারবার শহরের স্থানীয় অর্থনীতিতে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

Advertisement

ডায়মন্ড হারবার শহরের জেটিঘাট মোড় থেকে কপাটহাট পর্যন্ত জাতীয় সড়কের দু’ধারে কয়েকশো ছোট-বড় দোকান। এই দোকানদারেরা রায়দিঘি, মথুরাপুর, কুলপি, জয়নগর, কুলতলি ও কাকদ্বীপ মহকুমার একাংশের বাসিন্দাদের উপরেই মূলত নির্ভরশীল। ওই এলাকার বাসিন্দারাই কেনাকাটা করতে সরাসরি শহরে আসেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, ভাল জিনিস ডায়মন্ড হারবারেই মেলে। ফলে ক্রেতাদের আসতেই হয়। ডায়মন্ড হারবারের প্রাণকেন্দ্রে গড়ে উঠেছে বড় দু’টি শপিং মল। মল দু’টিতেও প্রচুর ক্রেতা ভিড় জমান। রাস্তার জন্য সেখানেও কেনাকাটা মার খেয়েছে বলে দাবি তাঁদের। ক’দিন আগে জেটিঘাটের কাছে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামায় বড় গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। নামখানা, কাকদ্বীপ পাথরপ্রতিমা থেকে কলকাতাগামী সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বাস বর্তমানে জাতীয় সড়কের হটুগঞ্জ মোড় থেকে উস্তি এবং শিরাকোল মোড় হয়ে কলকাতায় পৌঁছচ্ছে। কলকাতা থেকে নামখানা, কাকদ্বীপ ও পাথরপ্রতিমাগামী বাসও একই ভাবে গন্তব্যে যাচ্ছে। তবে ওই রুটের কিছু বাস ডায়মন্ড হারবার স্টেশন মোড় হয়ে গুরুদাস নগর থেকে হটুগঞ্জ মোড়ে উঠছে। ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার সরাসরি গাড়ি না থাকায় রায়দিঘি-সহ সুন্দরবন এলাকার বাসিন্দারা প্রকারান্তরে ডায়মন্ড হারবারমুখী হচ্ছেনই না। ফলে দিন-দিন ক্রেতার সংখ্যা তলানিতে নামছে।

ডায়মন্ড হারবার মেইন রোড ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য বস্ত্র ব্যবসায়ী গোপাল নিয়োগী বলেন, ‘‘গাড়ি না চলায় অধিকাংশ ক্রেতাই শহরে ঢুকছেন না। ব্যবসা লাটে উঠেছে। মূলত রায়দিঘি-সহ দক্ষিণের বাসিন্দারাই আমাদের ক্রেতা। তাঁরা আসতে পারছেন না।’’ তিনি আরও যোগ করেন, যাঁরা দোকানে মালপত্র সরবরাহ করেন, তাঁরাও আসতে পারছেন না। ফলে বেচা-কেনা দু’টোই ধাক্কা খেয়েছে। দোকানের কর্মচারীদের বেতন দিতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে। জাতীয় সড়কের পাশে খাবারের দোকান যাঁদের তাঁরাও সমস্যায় পড়েছেন। কবে নদীবাঁধ ঠিক হবে, কবে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হবে— এখন এই আশাতেই রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, পুজোর মধ্যেই রাস্তাটি সারিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement