সরেজমিন: এলেন আধিকারিক। নিজস্ব চিত্র।
সুন্দরবন এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ জলসীমায় নিরাপত্তা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ করছে বিএসএফ। ইতিমধ্যেই জলপথে নজরদারি বাড়াতে তিনটি আধুনিক জলযান ব্যবহার শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হেলিকপ্টারে করে টাকিতে আসেন বিএসএফের (এডিজি) যোগেশ বাহাদুর খুরানিয়া-সহ আধিকারিকেরা। তাঁরা সুন্দরবন এলাকার নিরাপত্তার বিষয় খতিয়ে দেখেন। এক আধিকারিক জানান, শীঘ্রই নিরাপত্তা দেখতে আসার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের।
বিএসএফের কড়া নজরদারি সত্ত্বেও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে সোনা, গরু, মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র পাচার চলছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি অনুপ্রবেশের ঘটনাও ঘটছে। বিএসএফ সূত্রের খবর, ভারত-বাংলাদেশ জলসীমা পেরিয়ে জলপথেও পাচার বা অনুপ্রবেশ চলছে। সম্প্রতি পারঘুমটি, গোবিন্দকাটি, সর্দারপাড়ায় নৌকো-ভর্তি বাংলাদেশি ধরা পড়ে। জলপথে দুষ্কৃতীদের আনাগোনাও বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। সূত্রের খবর, জলপথে হামলা হতে পারে বলে সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গোয়েন্দারা। এর জেরেই জল পথে নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আধুনিক সরঞ্জামে ভরা তিনটি জলযান (ফ্লোটিং ডিওপি) দিয়ে নজরদারির পাশাপাশি বিএসএফের বর্ডার আউটপোস্ট, ফ্লোটিং আউটপোস্ট, দ্রুতগামী বোট এবং জাহাজের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। সমুদ্র লাগোয়া ভুরকুন্ডার কাছে রায়মঙ্গল নদীতে টি-জংশনে পাঁচটি আউটপোস্টে টহলদারির জন্য আরও জাহাজ এসেছে। এই আধুনিক প্রযুক্তির জাহাজ যুদ্ধের কাজেও ব্যবহৃত হতে পারে বলে বিএসএফ কর্তাদের দাবি।