টুকরো খবর

দক্ষিন ২৪ পরগনায় রায়দিঘিতে চার জনকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সিপিএমের রায়দিঘি জোনাল সম্পাদক বিমল ভাণ্ডারীর জামিন মঞ্জুর করল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় শোনায়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৪ ০০:৩৪
Share:

রায়দিঘি কাণ্ডে সিপিএম নেতার জামিন হাইকোর্টের

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়দিঘি

দক্ষিন ২৪ পরগনায় রায়দিঘিতে চার জনকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সিপিএমের রায়দিঘি জোনাল সম্পাদক বিমল ভাণ্ডারীর জামিন মঞ্জুর করল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় শোনায়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। গত ১৪ জুন রাতে কাশীনগর বাজার থেকে অটোতে করে সাত-আট জনের একটি দল ফিরছিল। খাড়ি শ্রীনগর গ্রামের রাস্তায় গাড়ি আটকে সশস্ত্র এক দল দুষ্কৃতী চড়াও হয়। বোমা, ধারাল অস্ত্রের আঘাতে খুন হন তৃণমূল সমর্থক-সহ চার জন। ওই ঘটনায় প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, রায়দিঘির সিপিএম এর জোনাল কমিটি সম্পাদক বিমল ভাণ্ডারী-সহ ২১ জন সিপিএম কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। ঘটনার দু’দিন পরে রায়দিঘির বয়ারগদি গ্রামের বাড়ি থেকে বিমলবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে ডায়মন্ড হারবার সংশোধনাগারে ছিলেন তিনি। এ মাসের শুরুর দিকে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন এই সিপিএম নেতা। ঘটনাটি নিয়ে শোরগোল পড়েছিল রাজ্য জুড়ে। বিমলবাবুর মতো বর্ষীয়ান এক জন নেতা এবং কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো প্রাক্তন এক মন্ত্রীর নাম খুনের ঘটনায় জড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। যদিও তৃণমূল দাবি করে, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযোগ করেছে তারা।

Advertisement

কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা • হাবরা

বছর দশেকের প্রতিবেশী কিশোরীকে বাড়িতে ঢেকে এনে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটে হাবরা থানার বাণীপুর এজি কলোনি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত বিক্রম দাসের খোঁজ চলছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এজি কলোনি এলাকায় পাশাপাশি বাড়ি ওই কিশোরী ও যুবকের। অভিযোগ, সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ বিক্রম মেয়েটিকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তার উপরে অত্যাচারের চেষ্টা করে। কিশোরী চিৎকার করলে তাকে ছেড়ে দেয়। যুবকের কামড়ে কিশোরীর ব্যথা কমেনি। বুধবার সে ঘটনার কথা বাড়ির লোকজনকে খুলে বলে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্রমকে ডেকে শাসানি দিলে সে এলাকা ছেড়ে পালায়। মেয়েটিকে বুধবার রাতে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয় পরিবারের তরফে।

ছাত্রীকে ঝোপে টেনে নিয়ে মারধর

এক কলেজ ছাত্রীকে মুখ চেপে রাস্তার ধার থেকে ঝোপে টেনে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণপুর ফকিরপাড়ায়। নৈহাটি ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র কলেজের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী এক প্রতিবেশীর বাড়িতে মনসা পুজোর প্রসাদ খেয়ে ফিরছিলেন। তখন রাজু রায় নামে স্থানীয় এক যুবক অন্ধকার রাস্তায় পিছন থেকে তাকে মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। মেয়েটি চিৎকার করায় পালিয়ে যায় রাজু। আশপাশের লোকজন পুলিশকে খবর দেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর আগেও ওই যুবক একাধিক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে। রাজুর খোঁজ করছে পুলিশ।

দু’জনের মৃত্যু

জগদ্দলের পানপুরে একটি ডোবার ধার থেকে বৃহস্পতিবার সকালে এক ব্যাক্তির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সুনীল পাসোয়ান (৪৫)। বাড়ি কাঁকিনাড়ায়। তিনি কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে একটি পানশালায় কাজ করতেন। অন্য দিকে, এ দিনই সকালে ব্যারাকপুরের কেএমডিএ নগরের কাছে ব্যারাকপুর-বারাসত রোডের হাইড্রেন থেকে গঙ্গা সিংহ (৩২) নামে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement