নৈরাজ্যের সরকার চলছে, কটাক্ষ কান্তির
নিজস্ব প্রতিবেদন
শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সিপিএমের উদ্যোগে মিছিল হল রায়দিঘিতে। রবিবার বিকেলে রায়দিঘির কোম্পানির ঠেক মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়। প্রায় ৭ কিলোমিটার পছ পেরিয়ে মিছিল পৌঁছয় কাশীনগর মোড়ে। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী। মিছিলের শেষে কাশীনগর বাজারে একটি সভায় কান্তিবাবু রাজ্যে নারীনিগ্রহের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার করছে না। কখন নবান্ন থেকে নির্দেশ আসবে, সেই অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে পুলিশকে।” নৈরাজ্যের সরকার চলছে বলেও সমালোচনা করেন তিনি। সন্ধ্যায় মন্দিরবাজারের বিজয়গঞ্জ বাজারে সিপিএমের সভায় সুজনবাবু রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। অন্য দিকে, সিপিএমের বিগ্রেডের প্রস্তুতি হিসেবে রবিবার ফলতায় সিপিএমের জোনাল কমিটির ডাকে জনসভায় হাজির ছিলেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ি প্রমুখ। তৃণমূল ও বিজেপির কাজকর্মে যাঁরা অসন্তুষ্ট, তাঁদের বামেদের সঙ্গে আসার আহ্বান জানান সাংসদ।
দুই দুষ্কৃতীকে পিটিয়ে পুলিশে দিল জনতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট
দুই দুষ্কৃতীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের সাদিকনগর গ্রামের কুলতলা সেতুর কাছে বিদ্যাধরী নদীর পাশে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সরিফুল মণ্ডল এবং কালাম বিশ্বাস। বাড়ি ওই এলাকার চাঁপাপুকুর গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ ইটভাটা শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য দু’লক্ষ টাকা নিয়ে মোটরবাইকে মালতিপুর স্টেশনের দিক থেকে আসছিলেন পলাশ ঘোষ নামে এক ইট ব্যবসায়ী। মাঝপথ থেকে দু’টি মোটরবাইকে চার দুষ্কৃতী তাঁর পিছু নেয়। নদীর পাশে তাঁর পথ আটকে টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। ব্যাগ দিতে রাজি না হওয়ায় একজন দুষ্কৃতী পলাশবাবুকে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। সে সময়ে একটি ইট-বোঝাই ট্রাক সেখান থেকে যাচ্ছিল। এই দৃশ্য দেখে ট্রাকের লোকজন চিৎকার করলে স্থানীয় বাসিন্দারা চলে আসেন। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পালায় দু’জন। অন্য দু’জন পালিয়ে একটি ঝোপের মধ্যে লুকনোর চেষ্টা করে। সেখান থেকেই দু’জনকে ধরে শুরু হয় মারধর। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের গ্রেফতার করে। বাকি দুই দুষ্কৃতীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
শুরু হল সুন্দরবন কাপ
শুরু হল সুন্দরবন কাপ ২০১৫। জেলার ১৯টি থানার ৮৭৪টি ফুটবল দল এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে। ৬২টি মহিলা ফুটবল দলও খেলছে। বাঁ দিকের ছবিতে, রবিবার ক্যানিং স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে ক্যানিং থানার উদ্যোগে একটি ম্যাচে খেলছেন মহিলারা। ডান দিকে, খড়িবাড়ির চৌমুহা গ্রামে ফুটবল ম্যাচে মুখোমুখি হল রাধানগর রাকিব একাদশ এবং খামার একাদশ।