টুকরো খবর

অর্থলগ্নি সংস্থার আধিকারিকের বাড়িতে টাকা ফেরত নিতে এসেছিলেন জনা পঞ্চাশ এজেন্ট। কিন্তু যথারীতি বাড়িতে ছিলেন না ‘ইলোরা গ্রুপ’ নামে ওই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর। ইতিমধ্যে তাঁর কিছু প্রতিবেশী-আত্মীয়ের সঙ্গে এজেন্টদের বচসা বাধে। যার জেরে ৪ জনকে গাড়িতে তুলে অপহরণের চেষ্টা করা হয়।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৩৭
Share:

অপহরণে অভিযুক্ত লগ্নিসংস্থার এজেন্টরা

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতাসাগর

অর্থলগ্নি সংস্থার আধিকারিকের বাড়িতে টাকা ফেরত নিতে এসেছিলেন জনা পঞ্চাশ এজেন্ট। কিন্তু যথারীতি বাড়িতে ছিলেন না ‘ইলোরা গ্রুপ’ নামে ওই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর। ইতিমধ্যে তাঁর কিছু প্রতিবেশী-আত্মীয়ের সঙ্গে এজেন্টদের বচসা বাধে। যার জেরে ৪ জনকে গাড়িতে তুলে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। বৃহস্পতিবার সাগরের মৃত্যুঞ্জয়নগরের এই ঘটনায় ২৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সারদা-কাণ্ডের পর থেকেই বন্ধ সাগরের ওই লগ্নি সংস্থার অফিস। টাকা ফেরত চেয়ে নিয়মিত চাপ দিচ্ছিলেন এজেন্টরা। তাঁদের একাংশের দাবি, জমিজমা বিক্রি করে টাকা ফেরত দেবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন অনন্ত আচার্য নামে ওই আধিকারিক। সেই মতো এ দিন সাগর, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, পূর্ব মেদিনীপুরের নানা প্রান্ত থেকে এসেছিলেন জনা পঞ্চাশ এজেন্ট। অনন্তবাবুকে বাড়িতে না পেয়ে গোলমাল শুরু হয়। ইতিমধ্যে তাঁর প্রতিবেশী ও কয়েক জন আত্মীয়ের সঙ্গে বচসা বাধে ওই এজেন্টদের। দুই মহিলা-সহ চার জনকে এজেন্টরা একটি ছোট গাড়িতে তুলে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। এ দিকে ঘটনা জানতে পেরে গ্রামের লোকজন খবর দেন পুলিশকে। প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে মৃত্যুঞ্জয়নগরের কাছে গাড়ি ধরে ফেলে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় চার জনকে। গ্রেফতার করা হয় ২৯ জনকে। তাঁদের সকলকে আজ, শুক্রবার কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

শ্লীলতাহানির নালিশ গোসাবায়

নিজস্ব সংবাদদাতা • গোসাবা

কিশোরীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল পিসুততো দাদা ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ৩১ জানুয়ারি সুন্দরবনের কোস্টাল থানা এলাকার। পরে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশকে ওই তরুণী জানিয়েছে, ওই দিন সন্ধে বেলায় সে বাড়িতে পড়াশুনো করছিল। তার পিসতুতো দাদা এসে বলে, ‘বৌদি ডাকছে।’ অভিযোগ, তা শুনে বাইরে বেরিয়ে আসতেই ওই কিশোরীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে সংলগ্ন একটি মাঠে দুই অভিযুক্ত শ্লীলতাহানি করে। পরে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই কিশোরীর দাদার বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে। দাদা পলাতক। তার সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

শিশুদের নিয়ে প্রতিযোগিতা

নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট

ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার হয়ে গেল বসিরহাটের লিবার্টি ক্লাবের উদ্যোগে। ছোট জিরাকপুরে ছ’দিনের এই অনুষ্ঠানে ছোটদের ছবি আঁকা, নৃত্যানুষ্ঠান, ক্যুইজ প্রতিযোগিতা ছিল। দুঃস্থ মানুষের স্বাস্থ্য ও চোখ পরীক্ষা শিবিরও হয়েছে। ক্লাব সম্পাদক মানস বিশ্বাস বলেন, “এলাকার ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাত্‌সরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা করা হয়েছে। নাটক ও বহিরাগত শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও হয়েছিল।”

স্কুল পড়ুয়াদের সাহায্য অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের

অবসরের দিনই স্কুলকে ১ লক্ষ টাকা দান করলেন শিক্ষক প্রভুদাস হালদার। ওই টাকা ব্যাঙ্কে রেখে বাত্‌সরিক সুদ দিয়ে দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের বই, খাতা কিনে দেওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলেন তিনি। তা ছাড়া মন্দির, মসজিদ, গির্জায় ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদানও দেন প্রভুদাসবাবু। ১৯৭৯ সালে বাসন্তীর রানিগড় জ্যোতিষপুর হাইস্কুলে শিক্ষকতায় যোগ দেন তিনি। এ বছর ১৯ জানুয়ারি তিনি অবসর নেন। গোসাবার স্কুলের পক্ষ থেকে প্রভুদানবাবুকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রভুদাসবাবু বলেন, “আমরা যদি সকল ধর্মের প্রতি সম্মান জানাতে পারি, তা হলে মানুষের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ থাকবে না। এতে আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অন্যান্য নজির গড়তে পারব।” তাঁর বন্ধু ইসমাইল একটি মসজিদ নির্মাণ করছিলেন। কিন্তু তাঁর হঠাত্‌ মৃত্যুতে সেই কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বন্ধুর ইচ্ছা পূরণ করতেই তিনি মসজিদে টাকা দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান প্রভুদাসবাবু। ছেলেবেলায় বেশ কষ্ট করে লেখাপড়া শিখেছেন তিনি। সে কারণেই দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই দান বলে জানান। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী দীপিকা হালদার।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

বনগাঁ মহকুমা জুড়ে চলছে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। সম্প্রতি গাইঘাটার ধর্মপুর বাজারে শেষ হল স্থানীয় বিপ্লব সঙ্ঘের পরিচালনায় সৌহার্দ্য উত্‌সব। চারদিনের অনুষ্ঠানে ছিল ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুঃস্থ মানুষের মধ্যে বস্ত্র বিতরণও করা হয়। বিশিষ্ট কিছু মানুষকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। উনাই নেতাজি সেবা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে কালুপুরে হয়ে গেল চার দিনের নেতাজি উত্‌সব। এ বার ছিল দশম বর্ষ ছিল। পোস্টার ও ট্যাবলো প্রতিযোগিতা, দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পাঠ্য পুস্তক বিতরণ করা ছাড়াও ছিল নেতাজি বিষয়ক আলোচনা সভা এবং নাটক। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে শিমুলতলা পল্লিমঙ্গল সমিতি, শিমুলতলা স্পোর্টিং ক্লাবে ও বঙ্কিম স্মৃতি সঙ্ঘে। এখানে পাকিস্তানে জঙ্গিদের হামলায় নিহত পড়ুয়াদের স্মৃতিতে স্থানীয় গোপালনগর থেকে সঙ্ঘের মাঠ পর্যন্ত ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।

পল্লি মিলন উত্‌সব

হাসনাবাদের শুলকুনি ফণীন্দ্র স্টুডেন্ট সঙ্ঘের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হল ‘পল্লি মিলন উত্‌সব’। তিন দিনের এই উত্‌সবে ম্যাজিক, পল্লিগীতি, নৃত্যানুষ্ঠান, নাটক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি আঁকা এবং বাত্‌সরিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতারও আয়োজন হয়েছিল মেলাতে। সঙ্ঘের সভাপতি তীর্থেন্দু মাইতি বলেন, “মেলায় উপস্থিত বিশিষ্টজনদের সাধক ফণীন্দ্র ব্রহ্মচারী স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় ছেলেদের খেলাধূলার উন্নতিতে এলাকার ক্লাবগুলিকে ক্রীড়া সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে।”

ক্ষতিপূরণের দাবি

উস্তি বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করলেন প্রদেশ ও জেলা কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। পরে মগরাহাট ১ বিডিও-র সঙ্গে দেখা করে ক্ষতিপূরণ নিয়ে আোচনা করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement