Husband-Wife Found Dead in South 24 Pargana

পাথরপ্রতিমায় বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার স্বামী-স্ত্রীর দেহ, চাঞ্চল্য এলাকা জুড়ে, তদন্তে নামল পুলিশ

বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ শিবগঞ্জ ফরেস্ট ঘাট এলাকার একটি বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৪৫ এবং ৪০ বছর। তাঁদের এক ছেলেও রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

পাথরপ্রতিমা শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৪২
Share:

ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকা জুড়ে। —নিজস্ব চিত্র।

ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার হল স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার পাথরপ্রতিমার শিবগঞ্জে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ শিবগঞ্জ ফরেস্ট ঘাট এলাকার একটি বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম মনোরঞ্জন কর ওরফে পশুপতি (৪৫)। স্ত্রীর নাম দুর্গারানি কর (৪০)। তাঁদের একটি মাত্র ছেলেও রয়েছে। তিনি কেরালায় পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। মূলত চাষবাস করেই জীবিকানির্বাহ করত ওই পরিবার। স্বামী-স্ত্রীর একটি চায়ের দোকানও ছিল বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। সংসারে টানাটানি লেগে থাকত।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে মাছবিক্রেতা এক মহিলা বকেয়া টাকা চাইতে তাঁদের বাড়ি আসেন। বেশ কিছু ক্ষণ ডাকাডাকির পরেও কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে জানলা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন, মেঝেতে পড়ে রয়েছে মহিলার দেহ। এই দৃশ্য দেখে চিৎকার করে ওঠেন তিনি। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন বাকি প্রতিবেশীরাও। এর পর ঘরে ঢুকে স্বামী এবং স্ত্রীয়ের নিথর দেহ দেখতে পান তাঁরা। ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল স্ত্রীর দেহ। স্বামীর দেহ ছিল ঘরে খাটের উপর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ। দেহ দু’টি ইতিমধ্যেই মাধবনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপে পাঠানো হবে দেহ। পাশাপাশি এই ঘটনায় আত্মীয় এবং প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

মৃতের দাদা মধুসূদন কর জানিয়েছেন, রাতেও ভাইয়ের সঙ্গে প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিক কথোপকথন হয়েছিল তাঁর। সকালে এক সঙ্গে রেশন দোকানেও যাওয়ার কথা ছিল। তারই মধ্যে এই ঘটনা কী করে ঘটে গেল, বুঝতে পারছেন না মৃতের দাদা। একই কথা বলছেন প্রতিবেশীরাও। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement